অস্ট্রেলিয়ার বাজারে বাংলাদেশি চামড়াজাত পণ্য রপ্তানির বিশাল সুযোগ রয়েছে, যা বিলিয়ন ডলারে এগিয়ে নেয়া সম্ভব। বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ক্রমেই বাড়ছে। ২০০৪ সালে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৩৪৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বর্তমানে বেড়ে ২ দশমিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি এক প্রতিনিধিদল গতকাল শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুনের সঙ্গে বৈঠকে এসব তথ্য জানানো হয়। শিল্প মন্ত্রণালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বেগম পরাগ, অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ওবায়দুর রহমান, সহসভাপতি নেসার মাকসুদ খান, মহাসচিব শাকিল আহমেদ খান, পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মহীউদ্দিন আহমেদ মাহিন উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়ানো, শিল্প খাতে বিনিয়োগ এবং ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সফর বিনিময়ের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
এ সময় চেম্বারের নেতারা বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় তৈরি পোশাক, চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, সিরামিক ইত্যাদি রপ্তানি করছে। প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়ায় ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হচ্ছে। নির্ধারিত কমপ্লায়েন্স অনুসরণ করলে অস্ট্রেলিয়ায় চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানিও বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নে সরকারের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশি পণ্যের বাজার প্রসারে চেম্বারের পক্ষ থেকে একক পণ্য প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে বলে তারা শিল্পমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
শিল্পমন্ত্রী অস্ট্রেলিয়াকে বাংলাদেশের অন্যতম ব্যবসায়িক ও উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ খাতে ইতোমধ্যে অস্ট্রেলিয়ার উদ্যোক্তারা বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
তিনি বাংলাদেশের চিনি শিল্প খাতে বিনিয়োগে অস্ট্রেলিয়ার উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে চেম্বার নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। শিল্পমন্ত্রী বাংলাদেশে গুণগতমানের চামড়াজাত পণ্য তৈরি ও মূল্য সংযোজনের লক্ষ্যে অস্ট্রেলিয়ার বিনিয়োগ আনতে চেম্বার নেতাদের পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে রাসায়নিক সার, কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প, আইটি, ওষুধ ও চামড়া শিল্প খাতে বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। উদীয়মান এসব শিল্প খাতেও অস্ট্রেলিয়ার উদ্যোক্তারা বিনিয়োগ করতে পারে। অস্ট্রেলিয়ার উদ্যোক্তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চাইলে তাদের জন্য পৃথক অর্থনৈতিক অঞ্চল বরাদ্দ দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।