সাভারে পাঁচ দফা দাবিতে আন্তর্জাতিক নারী দিবসে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে তৈরী পোশাক নারী শ্রমিকরা। এসময় বাংলাদেশ গার্মেন্টস এন্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশন এর ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে কর্ম ক্ষেত্রে নারী শ্রমিকদের প্রতি বৈষম্য দূরীকর, মাতৃ কল্যাণ ছুটি ছয় মাস, নারীদের প্রতি সহিংসতা ধর্ষণ নির্যাতন বন্ধ এবং সাভারের রাজাসন এলাকার সিগনেচার ইন স্টিচ অ্যাপারেলস এর বন্ধ কারখানা চালুসহ ২৭০ জন শ্রমিকের বকেয়া বেতন ভাতা পরিশোধের দাবি জানান তারা। গতকাল সকাল ১১ টায় সাভারে ধ্বসে পড়া রানা প্লাজার সামনে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে তৈরী পোশাক শ্রমিকরা। এর আগে সকাল ১০ টায় বাংলাদেশ গার্মেন্টস এন্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের উদ্যোগে নারী দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালীর আয়োজন করা হয়। র্যালীটি সাভার মজিদপুর মহল্লার ফেডারেশন চত্বর হইতে আরিচা মহাসড়ক হয়ে রানা প্লাজার সামনে এসে শেষ হয়। বাংলাদেশ গার্মেন্টস এন্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সুমাইয়া ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ গার্মেন্টস এন্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি রফিকুল ইসলাম সুজন, শ্রমিক নেতা ইসমাইল হোসেন ঠান্ডু, রতন হোসেন মোতালেব, রুবিনা আহমেদ, খাদিজা আক্তার, সিগনেচার গার্মেন্টসের শ্রমিক হালিমা বেগম প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে সুমাইয়া ইসলাম বলেন, ১৮৫৭ সালে নারীদের ট্রেড ইউনিয়ন, নারী শ্রমিকদের কর্মক্ষেত্রে বৈষম্য দূরীকরণ, নির্যাতন, ধর্ষণ, মাতৃত্বকালীন ছুটি ৬ মাস করণের জোড় দাবী জানান। বর্তমানে সরকারী শ্রমিক কর্মচারী নারীদের ৬ মাসের ছুটি থাকলেও বেসরকারী খাতে ১১২ দিনের ছুটি প্রদান করা হয়।
এই বৈষম্য দূরীকরণ করে গার্মেন্টস সেক্টরসহ বেসরকারী সকল সেক্টরে ৬ মাস মাতৃত্বকালীন ছুটির দাবী জানান। বাংলাদেশ গার্মেন্টস এন্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি রফিকুল ইসলাম সুজন বলেন, সাভারের সিগনেচার ইন স্টিচ এ্যাপারেলস কারখানা কর্তৃপক্ষ গত ২০ শে ফেব্রুয়ারী শ্রমিকদের চার মাসের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ না করেই হঠাৎ করে কারখানা তালা বন্ধ করে দেয়। এর ফলে ওই কারখানর ২৭০ জন শ্রমিক নভেম্বর, ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন ভাতা না পেয়ে মানবেতার জীবন যাপন করছে। এবিষয়ে কলকারখানা পরিদপ্তর, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ সুপার, সাভার থানাকে অবগত করে প্রয়োজনীণ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য স্বরকলিপি প্রদান করা হয়েছে। তাই অবিলম্বে শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবী জানান।