২০২৪ সালে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় উন্নীত হবে বাংলাদেশ। কিন্তু সেই এলডিসি থেকে গ্রাজুয়েশন হওয়ার পর বিশ্ববাণিজ্যে বেশকিছু সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে বাংলাদেশ। সেক্ষেত্রে রফতানি খাতে একটি ঝাঁকি খাবে বাংলাদেশ। পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরে যে ধরনের সক্ষমতা অর্জন করা প্রয়োজন, তাও এখনো পর্যাপ্ত নয়।
রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে গতকাল স্বাধীন গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘ডব্লিউটিওতে সাম্প্রতিক বিতর্ক ও এলডিসি শঙ্কা’ (কারেন্ট ডিবেটস অ্যাট দ্য ডব্লিউটিও অ্যান্ড দ্য এলডিসি কনসার্নস) শীর্ষক সংলাপে এসব কথা বলেন বক্তারা। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ডব্লিউটিওতে জেনেভার রাষ্ট্রদূত ও সংস্থাটির এলডিসি বিষয়ক উপ-কমিটির সভাপতি মনিক ভ্যান ডালেন। সিপিডির ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান, ডব্লিউটিওর এলডিসি ইউনিটের প্রধান তৌফিকুর রহমান, সংসদ সদস্য ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন, ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি আসিফ ইব্রাহীম প্রমুখ।
সিপিডির সন্মানিত ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এলডিসি থেকে এরই মধ্যে কয়েকটি দেশ গ্রাজুয়েট করেছে। গ্রাজুয়েশনের পর তারা বেশকিছু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে। তবে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ তাদের থেকে ভিন্ন। কারণ ওইসব দেশের জনসংখ্যা বাংলাদেশের চেয়ে অনেক কম। তাই বাংলাদেশের গ্রাজুয়েশন যাতে মসৃণ ও টেকসই হয়, সেজন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি দরকার। এক্ষেত্রে ডব্লিউটিওর সহায়তা অবধারিত।
বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক বলেন, বিশ্বে বর্তমানে কিছু অপ্রত্যাশিত বাণিজ্যিক পরিস্থতির উদ্ভব হয়েছে। উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবেলায় তৈরি পোশাকখাত এখনো পুরোপুরি প্রস্তুত নয়। এর মধ্যে এলডিসি থেকে উত্তোরণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু এলডিসি থেকে বেরিয়ে গেলে বাংলাদেশ রফতানিতে জিএসপি সুবিধা হারাবে। এর ফলে আমাদের রফতানি বাণিজ্যে কি ধরনের চ্যালেঞ্জ দেখা দিতে পারে সে বিষয়ে আগে থেকে ভালো করে হোমওয়ার্ক করা প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে আলোচকদের আলোচনার সংক্ষিপ্তসার উত্থাপন করতে গিয়ে ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচর্য বলেন, আলোচনায় কয়েকটি বিষয় উঠে এসেছে। এর মধ্যে প্রথমটি হলো ২০২৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশকে এলডিসিভুক্ত দেশ হিসেবেই থাকতে হবে। ফলে এ ধরনের দেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে যে ধরনের কার্যক্রম সম্পাদন করতে হয়, তা চালিয়ে যেতে হবে।