Home Bangla Recent পাট খাতে ১০ হাজার কোটি টাকার তহবিল দাবি

পাট খাতে ১০ হাজার কোটি টাকার তহবিল দাবি

পাট শিল্পে উন্নতির লক্ষ্যে আগামী ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের বাজেটে ১০ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠনসহ ৬দফা সুপারিশ অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিজেএমএ)। সংগঠনটির পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সুপারিশ অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের কাছে পাঠিয়েছে বলে সংগঠন সূত্রে জানা গেছে।

 

দেশীয় পাট শিল্পকে সুসংহত করার পাশাপাশি এ শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের নানাভাবে প্রণোদনা দিয়ে আসছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে এর আগে দেশ থেকে কাঁচাপাটসহ তিন ধরনের পাট রপ্তানির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)-এর পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে ৬২৮ মিলিয়ন ডলারের পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৮১৮ মিলিয়ন ডলার। ফলে এই খাতে রপ্তানি ২৩ শতাংশ কমেছে।

এ অবস্থায় পাট শিল্পের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশন আগামী অর্থবছরের বাজেটে বিবেচনার জন্য যেসব সুপারিশ করেছে তার মধ্যে রয়েছে, সম্ভাবনাময় পটি শিল্পের বিকাশে আগামী বাজেটে ২ শতাংশ সুদে ১০ হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল গঠন করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে সংগঠনটির পক্ষ থেকে জোর সুপারিশ করা হয়েছে।

সুপারিশে বলা হয়েছে, পাটপণ্য রপ্তানি বিল থেকে শূন্য  দশমিক ৬০ শতাংশ হারে উৎসকর কর্তন করা হচ্ছে। ভারত কর্তৃক এন্টি-ডাম্পিং শুল্ক আরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে পাট পণ্যের রপ্তানি কমে যাওয়ায় পাট শিল্পের আর্থিক দূরবস্থাকে আরো সংকটময় করে তুলেছে। সেজন্য পাটপণ্য রপ্তানিতে উৎসকর থেকে অব্যাহতি দেওয়া উচিত।

বলা হয়েছে, পাটপণ্যের ভর্তুকি থেকে ৩ শতাংশ হারে আয়কর কর্তন হয়ে থাকে পাট শিল্পের এ দুর্দিনে রপ্তানি ভর্তুকি আয়কর মুক্ত হওয়া বাঞ্চনীয়।

পাটশিল্প যেহেতু শ্রমঘন শিল্প এর সঙ্গে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে প্রায় চার কোটি লোক জড়িত এবং যেহেতু পাটপণ্যের শতভাগ মূল্য সংযোজিত পণ্য সেহেতু পাটপণ্য প্রস্তুতে টেলিফোন, পণ্য পরিবহন, জাহাজীকরণ, স্থানীয় উপকরনাদী ক্রয়সহ এ শিল্পের সঙ্গে সম্পর্কিত অন্যান্য অন্যান্য সব ক্ষেত্রে ভ্যাট মওকুফ চেয়েছে সংগঠনটি।

বাজেট প্রস্তাবে বিজেএমএ’র পক্ষে বলা হয়েছে, করদাতাদের হয়রানি হ্রাস করার জন্য আয়কর নির্ধারণের পর ১৭৩ ধারা ভুল সংশোধনের আবেদন করা হলে তা সংশোধন, আয়কর সনদ, সার্টিফায়েড কপি এবং ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট প্রদানের জন্য সর্বোচ্চ সময়সীমা নির্ধারণ করা প্রয়োজন। সাধারণত উল্লেখিত সার্টিফায়েড কপি প্রদানের অনেক সময় ব্যয় করতে হয়।

পাটকল শিল্পে ব্যবহৃত জুট বেচিং ওয়েল (জেবিও) এর আগে প্রতি লিটারের দাম ছিল ৬৮ টাকা বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯০ টাকায়। পাট শিল্পের দুর্দিন বিবেচনায় নিয়ে জেবিও’র দাম আগের মতো প্রতি লিটারের দাম ৬৮ টাকা করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here