কৃষকদের কাছ থেকে পাট কেনার জন্য গঠিত পুনঃঅর্থায়ন তহবিলের আকার একশ কোটি টাকা বাড়িয়ে ৩০০ কোটি করা হয়েছে। একই সঙ্গে এ তহবিলের মেয়াদ আরও পাঁচ বছর বাড়ানো হয়েছে। এ তহবিল থেকে সর্বোচ্চ ৮ শতাংশ সুদে ঋণ পাবেন পাটকল ও পাট রপ্তানিকারকরা। আগে এ তহবিলের সুদের হার ছিল সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ। গতকাল রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। অন্য আরেকটি প্রজ্ঞাপনে আনকাট, বিটিআর (বাংলা তোশা রেজেকশন) ও বিডব্লিউআর (বাংলা হোয়াইট রেজেকশন) নামে কাঁচা পাটের রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হয়েছে। এতে এখন থেকে সব ধরনের কাঁচাপাট রপ্তানি করা যাবে। এর আগে আন-কাট, বিটিআর ও বিডব্লিউআর নামের কাঁচাপাট রপ্তানি বন্ধ করে ২০১৮ সালের ১৮ জানুয়ারি প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল সরকার। এরপর থেকেই উল্লিখিত তিন ধরনের কাঁচাপাট রপ্তানি বন্ধ ছিল।
জানা গেছে, কৃষকদের কাছ থেকে পাট ক্রয়ের লক্ষ্যে ২০১৪ সালের ৯ জুন ২০০ কোটি টাকার একটি পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করা হয়; যার মেয়াদ ২০১৯ সালের ৮ জুন শেষ হয়েছে। এজন্য নতুন করে তহবিলের মেয়াদ ও পুনঃঅর্থায়ন তহবিলের পরিমাণ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, পাট খাতে ঋণ সহায়তা প্রদানের জন্য বিশেষ করে কৃষকদের নিকট থেকে পাট ক্রয়ের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১৪ সালে পাঁচ বছরের জন্য ২০০ কোটি টাকার একটি পুনঃঅর্থায়ন তহবি গঠন করে। উক্ত পুনঃঅর্থায়ন তহবিলের পরিমাণ আরও ১০০ কোটি টাকা বাড়িয়ে ৩০০ কোটি টাকায় উন্নীত করা এবং তহবিলটির মেয়াদ পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য বর্ধিত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ তহবিল থেকে অংশগ্রহণকারী ব্যাংকগুলো ব্যাংক হারে অর্থ পাবে এবং ব্যাংক সর্বোচ্চ ৮ শতাংশ সুদহারে পাটকল ও পাট রপ্তানিকারকদের ঋণ প্রদান করবে। এছাড়া পূর্বের প্রজ্ঞাপনের অন্যান্য নির্দেশনা অপরিবর্তীত থাকবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
পাট খাতে বিদ্যমান পুনঃঅর্থায়ন নীতিমালা অনুযায়ী, এ তহবিলের ৪০ শতাংশ করে সরকারি ও বেসরকারি পাটকলগুলোর জন্য এবং ২০ শতাংশ পাট ব্যবসায়ী ও রপ্তানিকারকদের জন্য নির্ধারিত রাখা হয়।