তৈরি পোশাক খাতের কর্মপরিবেশ উন্নয়ন ও আর্থিক সক্ষমতা বাড়াতে ৭ শতাংশ সুদে ঋণ দেওয়ার নতুন একটি প্রকল্প চালু করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
‘প্রোগ্রাম টু সাপোর্ট সেইফটি রেট্রোফিটস অ্যান্ড এনভাইরনমেন্টাল আফগ্রেডেশন ইন দ্য বাংলাদেশি আরএমজি সেক্টর প্রজেক্ট বা এসআরইইউপি শীর্ষক এই প্রকল্পে ৭ শতাংশ সুদে ঋণে দেওয়া হবে পোশাক কারখানাগুলোকে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য পাঁচটি ব্যাংক ও দুটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রাক অর্থায়ন চুক্তি করা হয়েছে। ব্যাংকগুলো হচ্ছে- সাউথইস্ট ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া এবং এনসিসি ব্যাংক। আর্থিক দুটি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে আইডিএলসি ফাইন্যান্স ও আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেড। বিজ্ঞপ্তির তথ্য মতে, ৬৪ দশমিক ২৯ মিলিয়ন ইউরোর এই প্রকল্পে উন্নয়ন সংস্থা এএফডির ৫০ মিলিয়ন ইউরো ঋণ রয়েছে। বাকি অর্থ আসবে ইইউ, কেএফডব্লিউ, জিআইজেড’র অনুদান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের তহবিল থেকে। বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক শিল্পের প্রসারের লক্ষ্যে এ খাতে ভবনের অগ্নি নির্বাপণ, কর্মপরিবেশ উন্নয়ন, শ্রমিকের নিরাপত্তা এবং সর্বোপরি পরিবেশ-বান্ধব বা নিরাপত্তা জোরদার বিষয়ক বিনিয়োগের জন্য উন্নয়ন সহযোগীদের অংশগ্রহণে এই প্রকল্পটি চালু করা হয়েছে। চুক্তি সই অনুষ্ঠানে ডেপুটি গভর্নর এস এম মনিরুজ্জামান বলেন, স্বল্প সুদের হার এবং আর্থিক প্রণোদনার ভিত্তিতে এ প্রকল্পটি একটি ইউনিক প্রকল্প। গ্রাহক পর্যায়ে ঋণের সুদহার ৭ শতাংশের বেশি হবে না। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তৈরি পোশাক শিল্প কারখানার মালিকরা অ্যাকর্ড, অ্যালায়েন্স ও এনটিপিএ’র চাহিদা অনুযায়ী ভবনের বৈদ্যুতিক সংযোগ, অগ্নি নির্বাপণ ও কাঠামোগত সংস্কারসহ কর্মপরিবেশ উন্নয়ন, শ্রমিকের নিরাপত্তা সর্বোপরি পরিবেশ-বান্ধব বা নিরাপত্তা জোরদার বিষয়ক বিনিয়োগের জন্য নির্বাচিত ব্যাংক ওআর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিতে পারবেন। পোশাক শিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি রুবানা হক বলেন, এই প্রকল্পের জন্য উপযোগী কারখানাগুলোর প্রায় ৯২ শতাংশ সংস্কার কাজ ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে। তাই কারা ঋণ পাবে তার শর্তাবলী ঠিক করা প্রয়োজন।সামাজিক ও পরিবেশগত উন্নয়নের ধারণাটি সব কারখানার জন্য প্রয়োগ করা যাবে।