বর্তমানে পোশাক শিল্পে যে সংখ্যক লোক কাজ করে সে অনুযায়ী উৎপাদন হচ্ছে না। উৎপাদনশীলতা বাড়াতে এই খাত অটোমেশনে (স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি) নিয়ে যেতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে ৬০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমান সক্ষমতা দিয়ে সেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব নয়। এ কারণে আমাদের অটোমেশনে যেতে হবে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশ (আইবিএফবি) এর ১৪তম বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এছাড়া রফতানিকারকদের সুবিধার জন্য ইজ অব ডুয়িং বিজনেসের চিন্তা করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তাদের সকল সুবিধা এক জায়গায় পাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। টিপু মুনশি বলেন, দেশের বাণিজ্য উন্নয়নে মেধার বিকল্প নেই। বাণিজ্যের উন্নয়ন মানেই দেশের উন্নয়ন। মেধা সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে বাণিজ্যের উন্নয়ন ঘটাতে হবে। দেশে বাণিজ্যের প্রসার ঘটাতে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ব্যবসায়ীদের সেবা প্রদান করা হচ্ছে। তিনি বলেন, পণ্যের বৈচিত্র্য আনতে মেধাকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে। বর্তমান সরকারকে বলা হয় ব্যবসাবান্ধব সরকার। ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারের জন্য সরকার সবকিছুই করবে। এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হতে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বর্তমানে আমাদের দেশের মাথাপিছু আয় ১৯১০ ডলার। এছাড়া নতুন করে ১০০টি ইকোনমিক জোনের যেই কাজ হাতে নেয়া হয়েছে তা সম্পন্ন হলে আমাদের উন্নয়ন আরও ত্বরান্বিত হবে। সৃষ্টি হবে প্রচুর কর্মসংস্থান। তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে পৌঁছাতে এখন আমাদের প্রয়োজন দক্ষ জনশক্তি এবং প্রযুক্তিগত উন্নয়ন। এসব জায়গাগুলোতে এফবিসিসিআই কাজ করে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও করবে। পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) গবেষণা পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক জানান, কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে বাংলাদেশের রফতানি বৃদ্ধি করতে হবে এবং রফতানি বাজার করতে হবে আরও বিস্তৃত। শুধু পোশাক শিল্পের ওপর নির্ভর করলে চলবে না, অন্যান্য পণ্যের গুণগতমান এবং উৎপাদন বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। ২০১৮ সালে যে পরিমাণ বিদেশী বিনিয়োগ বাংলাদেশে এসেছে তার ২৮ শতাংশ চীনের অবদান। তাই এই মুহূর্তে শুধু চীনকে গুরুত্ব না দিয়ে আগে ব্যবসায়ীদের গুরুত্ব দেয়া এবং নতুন বাজার তৈরি করার পরামর্শ দিয়েছেন এই গবেষক। আইবিএফবি’র সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি হুমায়ুন রশীদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, আইবিএফবি’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, পরিচালক মুস্তাফিজুর রহমান, ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট আইআরআই এর রেসিডেন্ট প্রোগ্রাম ডিরেক্টর জিওফরি ম্যাকডোনাল্ড পিএইচডি, ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের চিফ অব মিশন জিওরজি জিগুরি।