বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, বিভাগীয় শহরে বহুমুখী পাটজাত পণ্যের বিক্রয়কেন্দ্র স্থাপন করা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০১৯ এ বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সম্পর্কীত নির্ধারিত অধিবেশনে তিনি এ কথা বলেন । বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী বলেন, পাট ও পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি ও জনসাধারণকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য সরকার কাজ করছে। প্রত্যেকটি বিভাগীয় শহরে এবং ঢাকার বড় বড় সপিং মলে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে বহুমুখী পাটজাত পণ্যের প্রদর্শনী (ডিসপ্লে) সেন্টার ও বিক্রয়কেন্দ্র স্থাপন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে । মন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় পাটকলসমূহে দাবী-দাওয়ার বিষয়ে শ্রমিক অসন্তোষ সৃষ্টি হয়। এই শ্রমিক অসন্তোষকে কাজে লাগিয়ে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল সরকারকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে ফেলতে নানা ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। শ্রমিকদের পাওনার বিষয়ে বর্তমান সরকার সচেতন। এসব পাওনা পরিশোধের জন্য সরকার কার্যকরী ব্যবস্থাও ইতোমধ্যে গ্রহণ করেছে। তাই শ্রমিক অসন্তোষকে কাজে লাগিয়ে কেউ যাতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে না পারে সেজন্য আপনাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করছি। মন্ত্রী বলেন, জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রোমোশন সেন্টার (জেডিপিসি) এ পর্যন্ত প্রায় ৭০২ জন উদ্যোক্তা তৈরী করেছে। এ সকল উদ্যোক্তা ২৮০ প্রকারের বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদন করছেন। এসব উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্যের প্রচার ও প্রসার ও বিক্রির লক্ষ্যে জেলা মাসিক সমন্বয় সভায় জেলা-উপজেলা পর্যায়ের সকল সরকারি দপ্তরের দাপ্তরিক কাজে বহুমুখী পাটপণ্যের ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং জেলা- উপজেলা পর্যায়ে মেলা ও প্রদর্শনী আয়োজনে উদ্যোগি ভূমিকা নিতে হবে ।বাংলাদেশকে আবারও সোনালী আঁশের দেশ হিসেবে রূপান্তর করে পাটের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন -২০১০’ সুষ্ঠুভাবে শতভাগ বাস্তবায়নের জন্য সর্তক মনিটরিং করতে মন্ত্রী সকল বিভাগীয় কমিশনার ও জেলাপ্রশাসকদের আহ্বান জানান । মন্ত্রী বলেন, প্রতিটি উপজেলায় মাসে অন্তত: দুটি এবং বিভাগীয় ও জেলা শহরে যতটা সম্ভব মোবাইল কোর্ট পরিচালনা বৃদ্ধি করতে হবে। পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০ শতভাগ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আগামী মাসে দেশব্যাপী বিশেষ অভিযান পরিচালিত হবে।