ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সদ্য বিদায়ী অর্থবছরে লেনদেন বা টার্নওভারের শীর্ষে অবস্থান করছে বস্ত্র খাত। আলোচ্য সময়ে ডিএসইর মোট টার্নওভারের খাতটির দখলে ১৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ। এ তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রকৌশল খাত। এছাড়া তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বিদ্যুত ও জ্বালানি খাত। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্যমতে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বস্ত্র খাতের ৮২৮ কোটি ৭১ হাজার শেয়ার ২২ হাজার ৮৪৮ কোটি ৯৪ লাখ ২ হাজার টাকা লেনদেন হয়েছে। যা মোট টার্নওভারের ১৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ। প্রকৌশল খাতের ৩৩০ কোটি ৪৬ লাখ ৪৩ হাজার শেয়ার ২১ হাজার ৪৩ কোটি ৩৫ লাখ ৩৩ হাজার টাকা লেনদেন হয়েছে। যা ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৪ দশমিক ৪২ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে টার্নওভারে তৃতীয় অবস্থানে থাকা বিদ্যুত ও জ্বালানি খাতের ১৮৫ কোটি ৬৯ লাখ ১৪ হাজার শেয়ার ১৭ হাজার ২০৯ কোটি ৬১ লাখ ১ হাজার টাকা লেনদেন হয়েছে।
এদিকে, টার্নওভারে চতুর্থ স্থানে রয়েছে ফার্মাসিউটিক্যাল খাত। আলোচ্য অর্থবছরে খাতটির ২৮৫ কোটি ৫৫ লাখ ৩৩ হাজার শেয়ার ১৫ হাজার ৮৮০ কোটি ৩৯ লাখ ৭৭ হাজার টাকা লেনদেন হয়েছে। যা ডিএসইর মোট লেনদেনের ১০ দশমিক ৮৮ শতাংশ। এ সময় ব্যাংকিং খাতের ৬৫৫ কোটি ৯০ লাখ ৯১ হাজার শেয়ার ১৩ হাজার ৮৭৫ কোটি ১২ লাখ ২৭ হাজার টাকা লেনদেন হয়েছে। যা মোট লেনদেনের ৯ দশমিক ৫১ শতাংশ। এ খাতটির আগের অর্থবছরে টার্নওভারের শীর্ষে ছিল।
এদিকে টার্নওভারে বীমা খাতের অংশগ্রহণ ৭ দশমিক ২২ শতাংশ, বিবিধ খাতের ৫ দশমিক ১৪ শতাংশ, নন ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের ৪ দশমিক ৮৯ শতাংশ, খাদ্য-আনুষঙ্গিক খাতের ৪ দশমিক ১৯ শতাংশ, আইটির ৩ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ, চামড়া ২ দশমিক ৯৬ শতাংশ, টেলিকমিউনিকেশন ২ দশমিক ৫৩ শতাংশ, সিরামিক ২ দশমিক ২৬ শতাংশ, সিমেন্ট ১ দশমিক ৪১ শতাংশ, ভ্রমণ ১ দশমিক ২৪ শতাংশ এবং কাগজ-প্রকাশনা খাতের ১ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ।