চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ১৬ শতাংশেরও বেশি। যা দেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক খাতে প্রবৃদ্ধির প্রায় দ্বিগুণ। তবে এই প্রবৃদ্ধির বড় অংশই এসেছে চামড়াজাত পণ্য থেকে। কারণ ধারাবাহিক ভাবেই কমছে কাঁচা চামড়া রপ্তানি আয়। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন তথ্য।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, বিদায়ী অর্থবছরে চামড়া রপ্তানি আগের বছরের একই সময়ের (জুলাই) তুলনায় কমেছে ৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ। বলাবাহুল্য, ২০১৪ সালে হাজারীবাগ থেকে সাভারে ট্যানারি স্থানান্তর পরবর্তী সময় থেকে চামড়া রপ্তানি আয়ের গ্রাফ নিম্নমুখী । অন্যদিকে বেড়েই চলেছে আমদানি নির্ভর (চামড়া) চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি আয়। জুলাই মাসে ৬১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিতে। অর্থাৎ, বাংলাদেশ থেকে চামড়ার বেল্ট, ব্যাগসহ অন্যান্য পণ্য রপ্তানির পরিমাণ গত বছরের জুলাই মাসে ১০০ টাকা হলে এবার হয়েছে ১৬১ টাকা। আর চামড়ার তৈরি জুতা রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯ শতাংশের বেশি।
ইপিবির তথ্যানুযায়ী, সবমিলে চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের জুলাই মাসে দেশের দ্বিতীয় প্রধান রপ্তানি খাত চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছে ১০ কোটি ৬১ লাখ ডলার। এর মধ্যে ৭ কোটি ২৩ লাখ ডলারের চামড়ার জুতা, ২ কোটি ৪০ লাখ ডলারের চামড়াপণ্য ও ৯০ লাখ ডলারের চামড়া রপ্তানি হয়েছে। সব মিলিয়ে চামড়া ও চামড়াপণ্য রপ্তানি বেড়েছে ১৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ। যা জুলাই মাসের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ১৫ দশমিক ৪১ শতাংশ বেশি।
পণ্য রপ্তানি আয়ের হালনাগাদ তথ্য থেকে জানা যায়, জুলাইয়ে তৈরি পোশাক খাত থেকে রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯ দশমিক ৭ শতাংশ।