পোশাক খাতের উৎসে কর ১ শতাংশ। ১ জুলাই থেকে এ হার কার্যকর হয়েছে। বুধবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া সেগুনবাগিচায় তার দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান। সর্বশেষ পোশাক খাতের উৎসে করহার ছিল শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ। এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, মূল আইনে পোশাক খাতের উৎসে কর ১ শতাংশ থাকলেও বিভিন্ন সময়ে সংশ্লিষ্ট মহলের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এটি কমানো হয়। যেহেতু আইনে ১ শতাংশই নির্ধারণ করা হয়েছে, বাজেটেও এ বিষয়ে কিছু করা হয়নি, ফলে বিদ্যমান হারই বহাল থাকবে। তিনি জানান, বর্তমান হার কমানোর জন্য তৈরি পোশাক রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ থেকে দাবি করা হয়েছে। কমানোর কোনো চিন্তাভাবনা আছে কি-না জানতে চাইলে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এদিকে পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তারা বলেছেন, ১ শতাংশ কর আরোপের ফলে আগের চেয়ে বাড়ল চার গুণ। অতিরিক্ত করের কারণে অনেক ফ্যাক্টরি রুগ্ন হয়ে পড়বে। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য করহার আগের মতো শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশই রাখার দাবি জানান তারা। এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, মূল আইনে পোশাক খাতের উৎসে কর ১ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়, যার মেয়াদ গত ৩০ জুন পর্যন্ত ছিল। যেহেতু এবারের বাজেটে (২০১৯-২০) এ বিষয়ে কোনো প্রস্তাব করা হয়নি, ফলে নিয়ম অনুযায়ী আগের হারই বহাল থাকবে পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত। জানা যায়, পোশাক খাতের নতুন মজুরি কাঠামো বাস্তবায়নকে কেন্দ্র করে করহার আগের চেয়ে কমিয়ে প্রায় অর্ধেক করা হয়। আগে এ খাতের করহার ছিল শূন্য দশমিক ৬০ শতাংশ। এ বছরের জানুয়ারি থেকে পোশাক খাতে শ্রমিকদের জন্য নতুন বেতন কাঠামো কার্যকর করে সরকার। পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা দাবি করেন, করহার বেশি হওয়ায় তাদের খরচ বেড়ে গেছে। এই কর না কমালে তাদের ওপর বড় চাপ পড়বে। অনেক কারখানার মালিক শ্রমিকদের বর্ধিত বেতন দিতে পারবেন না। তখন সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে এনবিআর আদেশ জারি করে করহার শূন্য দশমিক ৬০ থেকে কমিয়ে শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশে এনেছিল। এখন সেটা ১ শতাংশের ঘোষণা দেওয়া হলো।