শ্রম বিষয়টি খুবই সংবেদনশীল। বিষয়টি তাই গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া উচিত। এক্ষেত্রে পোশাক খাতে কিছু সমস্যা আছে। তবে পরিমাণ ও গুণ বিচারে এটা খুবই সামান্য। একই সঙ্গে এ খাতের উন্নয়নে অনেক কিছু করার আছে বলে মনে করেন বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক। রোববার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘সরবরাহ প্রক্রিয়ায় শ্রমের নৈতিক ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বৃদ্ধি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। রুবানা হক বলেন, ভুল হতেই পারে, এটা স্বাভাবিক বিষয়। ৪০ লাখ কাজ করলে ৪০টা কেন ৪ হাজার ভুল হতে পারে, পরিমাণ ও গুণ বিচারে এটা খুবই সামান্য। এজন্য একসঙ্গে কাজ করতে হবে। হতে হবে কৌশলী। শ্রমিকের জন্য সেরাটা করতে চাই। এজন্য সব পক্ষের মধ্যে সমন্বয় প্রয়োজন। অনুষ্ঠানে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরামের সভাপতি হুমায়ুন রশিদ বলেন, নৈতিক শ্রম ব্যবস্থার প্রচলন করতে হবে। এটি উন্নত ব্যবসার পরিবেশ তৈরি করতে সহায়তা করবে, যার মাধ্যমে বাংলাদেশি শ্রমিকদের ভালো থাকার সুযোগ বৃদ্ধি পাবে। ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (ডিসিসিআই) সাবেক সভাপতি ও বিজিএমইএ পরিচালক আসিফ ইব্রাহিম বলেন, শ্রমিকের যে কোনো বিষয় আমরা গুরুত্বের সঙ্গে নিই। শ্রম আইন মানা এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আমরা একটি টেকসই ব্যবসায়ী মডেল প্রসার করতে চাই, যেখানে একটি ভালো কাঠামো থাকবে। আলোচনা অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো কীভাবে ভালো উদ্যোগগুলো গ্রহণ করতে পারে, আইওএম বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে দাসত্ব এবং মানব পাচার রোধে তাদের করপোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটিজ কার্যকলাপে কীভাবে সহায়তা করছে, তা তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানে ‘দ্য বিজনেস কেস ফর টেকিং অ্যাকশন টুওয়ার্ডস এথিকাল লেবার প্র্যাকটিস’ এবং ‘দ্য রোল অব ইন্টারন্যাশনাল পলিসিস, রেগুলেশন্স অ্যান্ড কোড অব কন্ডাক্ট ইন বিজনেস গ্রোথ’ নামের আরও দুটি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. রেজাউল হক, চামড়াজত পণ্য জুতা প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির নির্বাহী পরিচালক কাজী রওশন আরা, আইএমও’র লেবার মবিলিটি ও হিউম্যান ডেভেলপমেন্টের প্রধান মারিনা মানকিসহ সরকারি, বেসরকারি, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি ও উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।