তৈরি পোশাক শিল্পের ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ হিসেবে কাজ করা গার্মেন্টস অ্যাকসেসরিজ ও প্যাকেজিং শিল্পে ১ শতাংশ হারে প্রণোদনা দাবি করেছেন এই শিল্পের উদ্যোক্তারা। তাদের দাবি, পোশাক শিল্পের বিদ্যমান সংকটের কারণে অ্যাকসেসরিজ শিল্পেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে, তাই এই প্রণোদনা এখন তাদের প্রয়োজন।
সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ গার্মেন্টস এক্সেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিজিএপিএমইএ) এই দাবি জানায়।
সংবাদ সম্মেলনে অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা রাফিজ আলম চৌধুরী বলেন, সম্প্রতি আমাদের সদস্যভুক্ত ১০০ টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আমাদের ব্যবসায় টিকে থাকতে সরকারের সহায়তা চাই। আমরা যেন বিজিএমইএর সদস্যদের মতো সব সুযোগ-সুবিধা পাই।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বর্তমানে ক্রেতারা কমপ্লায়েন্সের দিকে জোর দেওয়ায় পোশাক কারখানাগুলো এখন আর নন কমপ্লায়েন্স কারখানায় অর্ডার দেয় না। এর ফলে অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সমস্যা হলো, কারখানাগুলোকে কমপ্লায়েন্স ও পরিবেশবান্ধব করতে যে পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন তা বেশির ভাগ কারখানার নেই। অথচ এই খাত সরাসরি ১ বিলিয়ন ও পরোক্ষভাবে আরও সাড়ে ৬ বিলিয়ন রপ্তানি করে। তাই সরকারের কাছে কমপ্লায়েন্স করার জন্য আর্থিক সহায়তার দাবি করছি। এ জন্য বাণিজ্য ও অর্থ মন্ত্রণালয়ে একটি আবেদনও করেছি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বুধবার থেকে রাজধানীর বসুন্ধরায় আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে পোশাক শিল্প পণ্যের চারটি আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন। প্রদর্শনীগুলো হলো- গার্মেন্টেক বাংলাদেশ-২০২০, ১১তম ইয়ার্ন অ্যান্ড ফেব্রিকস সোর্সিং ফেয়ার-২০২০, ১১তম গ্যাপ এক্সপো-২০২০ এবং প্যাকটেক বাংলাদেশ-২০২০।
দেশের পোশাক খাতের উন্নয়নে মেশিনারি, ইয়ার্ন অ্যান্ড ফেব্রিকস, গার্মেন্টস এক্সেসরিজ, প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং মেশিনারি ও সাপোর্ট সার্ভিস নিয়ে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হচ্ছে। আইসিসিবির ১০টি হলজুড়ে ২৪ দেশের ৪৫০ প্রতিষ্ঠান প্রদর্শনীতে অংশ নেবে। বিজিএপিএমইএ সভাপতি আব্দুল কাদের খান বলেন, এই মেলার মাধ্যমে পোশাক ও অ্যাকসেসরিজ শিল্প আরও এগিয়ে যাবে