পোশাকশিল্পে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে। এতে ৬০ ভাগ শ্রমিকের চাকরি হারানোর শঙ্কা তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি এ খাতে প্রতিনিয়ত ট্রেড ইউনিয়নের সংখ্যাও বাড়ছে। কিন্তু সেভাবে তাদের কোন কার্যক্রম নেই। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ-বিলস এর গবেষণায় এ সব তথ্য উঠে এসেছে। এছাড়াও ৯৫ শতাংশ পোশাক শ্রমিককে অতিরিক্ত কাজ করতে বাধ্য করা হয় বলে দাবি সংগঠনটির। দেশের রফতানি আয়ের অন্যতম উৎস পোশাক খাত। সার্বিক জিডিপিতে এর অবদান ১৮ ভাগ। এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত আছে প্রত্যক্ষভাবে প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিক। যাদের প্রায় ৬১ ভাগই নারী। এছাড়াও প্রায় ১ কোটি মানুষের বিভিন্নভাবে কর্মসংস্থান হয়েছে এ শিল্পের মাধ্যমে। কিন্তু এ খাতে নানা সঙ্কটের কারণে গত এক দশকে নারীদের অংশগ্রহণ কমে যাওয়ার পাশাপাশি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে অনেক পোশাক কারখানা। সোমবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ-বিলসের শোভন কাজ ও কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে এক গবেষণায় উঠে আসে বিভিন্ন তথ্য। প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ায় কমছে নারীদের অংশগ্রহণ। গবেষণা বলছে, প্রযুক্তির সঙ্গে খাপ খাওয়াতে শ্রমিকদের কোন প্রশিক্ষণ, কারখানা মালিকরা দেয় না। এতে চাকরি হারানোর শংকায় ৬০ শতাংশ শ্রমিক। গত ছয় বছরে পোশাকশিল্পে ট্রেড ইউনিয়নের সংখ্যা ৫০ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৫৩তে। এদেরও নেই কোন যথাযথ কার্যক্রম। বিলসের গবেষণা বলছে, এ খাতের ৯৭ ভাগ শ্রমিকই আছেন ইউনিয়নের বাইরে। ফলে তাদের ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার পুরোপুরি নিশ্চিত হয়নি। গবেষণায় দেখা যায়, শ্রম আইনে ৮ ঘণ্টার পর বাড়তি ২ ঘণ্টা কাজ করার কথা থাকলেও ৯৫ ভাগ শ্রমিককেই অতিরিক্ত কাজ করতে বাধ্য করা হয়।