Home Apparel ‘অপুষ্টির কারণে গার্মেন্টসে ২০ শতাংশ উৎপাদন কমছে’

‘অপুষ্টির কারণে গার্মেন্টসে ২০ শতাংশ উৎপাদন কমছে’

বর্তমানে তৈরি পোশাক শিল্পে প্রায় ৩৫ লাখ থেকে ৪২ লাখ শ্রমিক কাজ করেন; যাদের ৬০-৮০ শতাংশই হচ্ছেন নারী। সচেতনতার অভাব, খাদ্যের গুণাগুণ সম্পর্কে জ্ঞানের স্বল্পতা এবং সীমিত আয়ের কারণে এই শিল্পে নিয়োজিত অধিকাংশ শ্রমিক-ই পুষ্টিকর খাবার থেকে বঞ্চিত। এর মধ্যে ৪৩ শতাংশ শ্রমিক দীর্ঘমেয়াদি অপুষ্টির শিকার। এতে পোশাক শিল্পে শ্রমিকদের ২০ শতাংশ উৎপাদনশীলতা কমে যাচ্ছে।  রোববার (০৯ ফেব্রুযারি) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘পোশাক শিল্পখাতে মৌলিক পুষ্টি ও খাদ্য সরবরাহ বিষয়ক প্রশিক্ষণ’ বিষয়ক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এ তথ্য তুলে ধরেন।   অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আলী আজম। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য তুলে ধরে কর্মশালায় জানানো হয়, রপ্তানি আয়ের ৮৪ দশমিক ২১ শতাংশ আসে পোশাক শিল্প খাত থেকে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফেকচারার অ্যান্ড এক্সপোটার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) ২০১৮-১৯ অর্থবছর তথ্য অনুযায়ী, এ খাত থেকে দেশে মোট জাতীয় উৎপাদনের (জিডিপি) ১১ দশমিক ৭ শতাংশ এসেছে। এ ধরনের বিকাশমান খাত হওয়া সত্ত্বেও বর্তমানে বহুমুখী চ্যালেঞ্জের মুখে পোশাকশিল্প। এদিকে ইন্টারন্যাশনাল লেবার অফিস (আইএলও) সমীক্ষা অনুযায়ী, অপর্যাপ্ত পুষ্টির কারণে পোশাক খাতের শ্রমিকদের ২০ শতাংশ উৎপাদনশীলতা কমে যাচ্ছে। আয়োজকরা বলেছেন, কর্মশালার মূল উদ্দেশ্য খাদ্য ও পুষ্টি সংক্রান্ত তথ্যসমূহ, পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাবারের প্রয়োজনীয়তার পাশাপাশি গার্মেন্ট শ্রমিক-কর্মচারীদের ব্যবস্থাপকদের খাদ্য ও পুষ্টি বিষয়ে করণীয় এবং তদারকি বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তাদের অবহিত করা। একই সঙ্গে  পোশাক শিল্পে এই কার্যক্রমকে আরও জোরদার করার উদ্যোগ নেওয়া। 

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইমফ্রুভড নিউট্রিশন (গেইন) এর সহযোগিতায় কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন- গেইন-এর বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. রুদাবা খন্দকার, জনস্বার্থ পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের লাইন ডিরেক্টর ডা. এসএম মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ অ্যাম্প্লয়ার্স ফেডারেশনের মহাসচিব ফারুক আহমেদ, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের যুগ্ম মহাপরিদর্শক ডা. মো. মোস্তাফিজুর রহমান, গেইন-এর পোর্টফোলিও লিড মনিরুজ্জামান বিপুল প্রমুখ। অনুষ্ঠানে কে এম আলী আজম বলেন, মেধা ও মননকে কাজে লাগানো ও জ্ঞানের রূপান্তরের জন্য এ ধরনের প্রশিক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি আশা করছি, এই প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে আপনারা মালিক ও শ্রমিক এই উভয় পক্ষের মধ্যে সমন্বয় ঘটাতে পারবেন।   অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আরও দক্ষ করে গড়ে তুলতে বাস্তবমুখী প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা বলেন ডা. রুদাবা খন্দকার। কর্মশালায় কারিগরি সহযোগিতা দিচ্ছে জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের জাতীয় পুষ্টি সেবা বিভাগ। সোমবার (১০ ফ্রেবুয়ারি) কর্মশালার সমাপনী পর্ব অনুষ্ঠিত হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here