নিজ দেশে গার্মেন্ট কারখানা গড়ে তুলতে চায় উজবেকিস্তান। সে জন্য বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন দেশটির চার সদস্যের একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল। এছাড়া, সরিষা উৎপাদনেও বাংলাদেশের সহায়তা চেয়েছেন তারা। গতকাল সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মতবিনিময়কালে উজবেকিস্তানের ব্যবসায়ীরা বলেন, তারা নিজ দেশে গার্মেন্টস কারখানা স্থাপন করতে আগ্রহী। বিশ্বের তৈরি পোশাক বাজারে দ্বিতীয় শীর্ষ রপ্তানিকারক বাংলাদেশ এ বিষয়ে খুবই দক্ষ। তাই উজবেকিস্তানে কারখানা স্থাপনে বাংলাদেশের সহায়তা প্রয়োজন। এছাড়া, উজবেকিস্তানের ব্যবসায়ীরা তাদের দেশে চামড়া, তৈরি পোশাক, সরিষার তেল ও সানফ্লাওয়ার তেল উৎপাদনের ক্ষেত্রে যৌথ বিনিয়োগের প্রস্তাব দেন। তার আগে বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বলকান অঞ্চলের দেশ কসোভোর ঢাকায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত গুনার ইউরিয়া। এ সময় তার দেশের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আগ্রহের কথা মন্ত্রীকে জানান তিনি। এছাড়া, বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য জোরদার করতে চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তাবও দেন তিনি। কসোভোর রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান। কসোভোর বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কসোভোর বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করবেন। ব্যবসায়ীদের পারস্পরিক সফর বিনিময়ের মাধ্যমে বিনিয়োগ সহজ করতে একটি চুক্তির প্রস্তাব করেন তিনি। টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের জন্য আকর্ষণীয় স্থান। জাপান, কোরিয়া, চীন, ভারতসহ বিভিন্ন দেশ বড় ধরনের বিনিয়োগ করছে। অনেক দেশ বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। তিনি বলেন, কসোভোর বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন। বাংলাদেশে তৈরি পোশাক, পাটজাত পণ্য, চামড়াজাত পণ্য, আইসিটিসহ বেশ কিছু গুরুতপূর্ণ খাতে বিনিয়োগ করার উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। এ জন্য উভয় দেশের ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের পারস্পরিক দেশ সফর করতে হবে। এতে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বৃদ্ধির খাতগুলো চিহ্নিত করা সহজ হবে। বাংলাদেশ কসোভোর বিনিয়োগকারীদের চাহিদা মোতাবেক সবধরনের সহযোগিতা দেবে। এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্বে অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. ওবায়দুল আজম উপস্থিত ছিলেন।