Home Apparel ব্যাক টু ব্যাক এলসি ও বন্ডেড সুবিধার দাবি জানিয়েছে ডিসিসিআই

ব্যাক টু ব্যাক এলসি ও বন্ডেড সুবিধার দাবি জানিয়েছে ডিসিসিআই

তৈরি পোশাক খাতের মতো দেশের সম্ভাবনাময় সব খাতের জন্য ব্যাক টু ব্যাক এলসি, বন্ডেড ওয়্যারহাউজসহ অন্যান্য সুবিধা প্রদানের আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। গতকাল প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে সাক্ষাতে এ আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়িক সংগঠনটির নেতারা।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) কার্যালয়ে ডিসিসিআই সভাপতি শামস মাহমুদের নেতৃত্বে সংগঠনটির পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় ঢাকা চেম্বারের সভাপতি বলেন, তৈরি পোশাক খাতের মতো দেশের সম্ভাবনাময় সব খাতের জন্য ব্যাক টু ব্যাক এলসি, বন্ডেড ওয়্যারহাউজসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক সুবিধা প্রদান করা প্রয়োজন। তা না হলে সম্ভাবনাময় এসব খাতের দ্রুত বিকাশ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না।

এ সময় শামস মাহমুদ সম্প্রতি প্রকাশিত ইজ অব ডুয়িং বিজনেস সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান আট ধাপ উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখার জন্য সালমান এফ রহমানকে ধন্যবাদ জানান। দেশে বিনিয়োগ সহায়ক পরিবেশ উন্নয়নে দ্রুততম সময়ে ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু, বিনিয়োগসংশ্লিষ্ট নীতিমালার প্রয়োজনীয় সংশোধন ও দ্রুততর কার্যকর করার প্রস্তাব রাখেন তিনি।

এছাড়া তিনি দেশের অবকাঠামো খাতের উন্নয়নে প্রতিযোগী দেশগুলোর মতো অবকাঠামো খাতে জিডিপির ৬-৮ শতাংশ বাজেট বরাদ্দ রাখার পাশাপাশি এ দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের জন্য বন্ড মার্কেট উন্নয়ন, বন্ড ব্যবস্থার প্রবর্তন এবং গ্রিন ফিল্ড অবকাঠামো প্রকল্পগুলোকে শেয়ার মার্কেটে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করেন।

ডিসিসিআই সভাপতি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও আফ্রিকার দেশগুলোতে বাজার সম্প্রসারণে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় বাণিজ্যিক চুক্তি সম্পাদন করার জন্য অর্থনৈতিক কূটনীতি আরো শক্তিশালী করা, বন্দরের কার্যক্রমকে দ্রুত ও সহজ করার প্রস্তাব করেন। তিনি বিদ্যমান কোম্পানি আইনে ঋণ গ্রহণে পরিচালকের ব্যক্তিগত গ্যারান্টি বিলোপ, কোম্পানির বিলোপ, একীভূতকরণ, কোম্পানির সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় প্রযুক্তি, বিশেষত ই-ভোটিং, ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের ব্যবহার অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান।

সালমান এফ রহমান বলেন, ব্যবসা পরিচালনা সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান উন্নয়নে সরকার বেশকিছু কার্যকর উদ্যোগ নিয়েছে। ভবিষ্যতেও এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। ব্যবসা পরিচালনার সূচকে উন্নতি করতে হলে শুধু সংস্কার কার্যক্রম চলালেই হবে না। এর সুবিধা ব্যবসায়ীদের দোরগোড়ায় পৌঁছানো নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য দেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়াতে করপোরেট করহার কমানোর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, দেশের অর্থনীতির বিকাশের লক্ষ্যে কৃষি, চামড়া, তথ্যপ্রযুক্তিসহ অন্য সম্ভাবনাময় খাতগুলোকে তৈরি পোশাক খাতের মতো ব্যাক টু ব্যাক এলসি, বন্ডেড ওয়্যারহাউজ সুবিধাসহ অন্যান্য সুবিধা নিশ্চিত করার দাবি করা হয়েছে। এটা এসব খাতের জন্য প্রয়োজনীয় একটি দাবি।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ডিসিসিআইয়ের ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি এনকেএ মবিন, এফসিএ, এফসিএস, সহসভাপতি মোহাম্মদ বাশিরউদ্দিন, পরিচালক ওয়াকার আহমেদ চৌধুরী, আন্দালিব হাসান, নূহের লতিফ খান, ইঞ্জিনিয়ার মো. আল আমিন, আশরাফ আহমেদ, আরমান হক, মো. জিয়া উদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার শামসুজ্জোহা চৌধুরী, এসএম জিল্লুর রহমান, এনামুল হক পাটোয়ারী, মনোয়ার হোসেন, মো. শাহীদ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here