করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে পোশাক কারখানার শ্রমিকের জীবন ও শিল্প খাত রক্ষার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকনেতারা। সব পোশাক কারখানা সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা। একই সঙ্গে শ্রমিকদের জন্য রেশনিংসহ অন্যান্য ব্যবস্থা নেওয়ারও জরুরি আহ্বান জানান তাঁরা। বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি থেকে দেওয়া বিবৃতিতে সংগঠনটির সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার, সাধারণ সম্পাদক জুলহাস নাইন ও সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম এক যৌথ বিবৃতিতে এসব দাবি জানান। নেতারা বলেন, এর মধ্যে দেশে ২০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে, ১ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং একজন আইসিইউতে রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধর ঘোষণা হয়েছে, এসেছে হল খালির নির্দেশ, সভা–সমাবেশ নিষিদ্ধ, ক্রিকেট টুর্নামেন্ট বন্ধসহ লোকসমাগমের যেকোনো আয়োজন। মাদারীপুরসহ বিভিন্ন জেলায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে, রাজধানী শহরেও থমথমে অবস্থা। অথচ এই বিশেষ পরিস্থিতিতে রপ্তানি আয়ের শীর্ষে অবস্থান করা পোশাক খাতের ৪০ লাখ শ্রমিকের বিশেষ নিরাপত্তায় মালিক বা সরকারের কোনো ঘোষণা আসেনি। শ্রমিকনেতারা বলেন, শ্রমিকেরা হাজারো মানুষের সমাগমে কাজ করেন, যা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার জন্য বিপজ্জনক পরিবেশ। অথচ এই অবস্থায় সরকার ও মালিকপক্ষ থেকে কারখানা বন্ধের বিশেষ ঘোষণা না আসার সমালোচনা করেন তাঁরা। তাঁরা উদ্বেগ প্রকাশ করেন, শ্রমিকের জীবন ও শিল্প খাতের ভবিষ্যৎ রক্ষায় দ্রুত কারখানা সাময়িকভাবে বন্ধ করে সবেতন ছুটি নিশ্চিত করতে সরকার এবং মালিককে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান। শ্রমিকনেতারা বলেন, ৪০ লাখ শ্রমিকের বেশির ভাগ কারখানায় নিরাপদে হাত ধোয়া, পয়োনিষ্কাশন, মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করা বা বেশি বেশি পানি খাওয়াসহ হাইজিন রক্ষার যাবতীয় নিয়ম পালন করার সুযোগ নেই। শ্রমিকেরা অপরিচ্ছন্ন হাতে মেশিন ও অন্যান্য দ্রব্য স্পর্শ করছেন এবং প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক নিয়ে কাজ করছেন। এই পরিবেশ সাম্প্রতিক করোনার জরুরি অবস্থায় অত্যন্ত বিপজ্জনক। মহামারির আতঙ্কে বাজারেও সংকট দেখা যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে তাঁরা কারখানা বন্ধের পর শ্রমিকদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু করার দাবি জানান। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও সুস্বাস্থ্যের জন্য দ্রব্য মজুত বা বাসাভাড়া বৃদ্ধিও ফলে শ্রমিকেরা যাতে বিপর্যয়ের না পড়েন, এ জন্য বাসাভাড়া ও বাজার কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন নেতারা। নেতারা বলেন, এর মধ্যে ইউরোপ ও আমেরিকার অনেক ব্র্যান্ড তাদের অর্ডারের পরিমাণ কমাচ্ছে, কোথাও কোথাও বাতিল করছে। এই পরিস্থিতিতে কারখানায় শ্রমিকদের মধ্যে করোনা সংক্রামিত হলে ভবিষ্যতে রপ্তানি আয়ের শীর্ষে থাকা এই খাত আরও হুমকি ও বিপদের মধ্যে পড়বে। করোনা শ্রমিকদের মধ্যে ছড়ালে বায়াররা ভবিষ্যতেও বাংলাদেশে অর্ডার দেওয়ার ব্যাপারে নিরুৎসাহিত হবে, যা অর্থনীতিতে বিপর্যয় ডেকে আনবে। নেতৃবৃন্দ বলেন, আপাতত বিশেষ পরিস্থিতিতে কারখানা বন্ধ রাখলে সাময়িকভাবে অর্থনীতির ওপর চাপ তৈরি হলেও ভবিষ্যতের বিপদ দূর হবে। আর এই সাময়িক চাপ দূর করতে সরকারকে এই খাতে প্রয়োজনে কম সুদে আর্থিক সহায়তা ও সার্বিক নিরাপত্তা দিতে হবে। নেতৃবৃন্দ এই পরিস্থিতিতে একই সঙ্গে শ্রমিক ভাইবোনদের স্বাস্থ্য বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে চলার আহ্বান জানান।দেওয়া বিবৃতিতে সংগঠনটির সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার, সাধারণ সম্পাদক জুলহাস নাইন ও সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম এক যৌথ বিবৃতিতে এসব দাবি জানান। নেতারা বলেন, এর মধ্যে দেশে ২০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে, ১ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং একজন আইসিইউতে রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধর ঘোষণা হয়েছে, এসেছে হল খালির নির্দেশ, সভা–সমাবেশ নিষিদ্ধ, ক্রিকেট টুর্নামেন্ট বন্ধসহ লোকসমাগমের যেকোনো আয়োজন। মাদারীপুরসহ বিভিন্ন জেলায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে, রাজধানী শহরেও থমথমে অবস্থা। অথচ এই বিশেষ পরিস্থিতিতে রপ্তানি আয়ের শীর্ষে অবস্থান করা পোশাক খাতের ৪০ লাখ শ্রমিকের বিশেষ নিরাপত্তায় মালিক বা সরকারের কোনো ঘোষণা আসেনি। শ্রমিকনেতারা বলেন, শ্রমিকেরা হাজারো মানুষের সমাগমে কাজ করেন, যা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার জন্য বিপজ্জনক পরিবেশ। অথচ এই অবস্থায় সরকার ও মালিকপক্ষ থেকে কারখানা বন্ধের বিশেষ ঘোষণা না আসার সমালোচনা করেন তাঁরা। তাঁরা উদ্বেগ প্রকাশ করেন, শ্রমিকের জীবন ও শিল্প খাতের ভবিষ্যৎ রক্ষায় দ্রুত কারখানা সাময়িকভাবে বন্ধ করে সবেতন ছুটি নিশ্চিত করতে সরকার এবং মালিককে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান। শ্রমিকনেতারা বলেন, ৪০ লাখ শ্রমিকের বেশির ভাগ কারখানায় নিরাপদে হাত ধোয়া, পয়োনিষ্কাশন, মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করা বা বেশি বেশি পানি খাওয়াসহ হাইজিন রক্ষার যাবতীয় নিয়ম পালন করার সুযোগ নেই। শ্রমিকেরা অপরিচ্ছন্ন হাতে মেশিন ও অন্যান্য দ্রব্য স্পর্শ করছেন এবং প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক নিয়ে কাজ করছেন। এই পরিবেশ সাম্প্রতিক করোনার জরুরি অবস্থায় অত্যন্ত বিপজ্জনক। মহামারির আতঙ্কে বাজারেও সংকট দেখা যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে তাঁরা কারখানা বন্ধের পর শ্রমিকদের জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু করার দাবি জানান। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও সুস্বাস্থ্যের জন্য দ্রব্য মজুত বা বাসাভাড়া বৃদ্ধিও ফলে শ্রমিকেরা যাতে বিপর্যয়ের না পড়েন, এ জন্য বাসাভাড়া ও বাজার কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন নেতারা। নেতারা বলেন, এর মধ্যে ইউরোপ ও আমেরিকার অনেক ব্র্যান্ড তাদের অর্ডারের পরিমাণ কমাচ্ছে, কোথাও কোথাও বাতিল করছে। এই পরিস্থিতিতে কারখানায় শ্রমিকদের মধ্যে করোনা সংক্রামিত হলে ভবিষ্যতে রপ্তানি আয়ের শীর্ষে থাকা এই খাত আরও হুমকি ও বিপদের মধ্যে পড়বে। করোনা শ্রমিকদের মধ্যে ছড়ালে বায়াররা ভবিষ্যতেও বাংলাদেশে অর্ডার দেওয়ার ব্যাপারে নিরুৎসাহিত হবে, যা অর্থনীতিতে বিপর্যয় ডেকে আনবে। নেতৃবৃন্দ বলেন, আপাতত বিশেষ পরিস্থিতিতে কারখানা বন্ধ রাখলে সাময়িকভাবে অর্থনীতির ওপর চাপ তৈরি হলেও ভবিষ্যতের বিপদ দূর হবে। আর এই সাময়িক চাপ দূর করতে সরকারকে এই খাতে প্রয়োজনে কম সুদে আর্থিক সহায়তা ও সার্বিক নিরাপত্তা দিতে হবে। নেতৃবৃন্দ এই পরিস্থিতিতে একই সঙ্গে শ্রমিক ভাইবোনদের স্বাস্থ্য বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে চলার আহ্বান জানান।