শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের বেতনভাতাদি দিয়ে উৎপাদন অব্যাহত রাখতে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে বরাদ্দ চেয়েছেন তৈরি পোশাক পণ্যের সুইং থ্রেট, বোতাম, কার্টনের মতো অ্যাকসেসরিজ বা অনুষঙ্গ প্রস্তুতকারক প্রচ্ছন্ন রফতানিকারকরা। এক সংবাদ বিবৃতির মাধ্যমে এ দাবি জানান সংশ্লিষ্ট সংগঠন বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যাকসেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএপিএমইএ) সভাপতি মো. আব্দুল কাদের খান।
বিবৃতিতে মো. আব্দুল কাদের খান বলেন, বৈশ্বিক করোনাভাইরাসের দুর্যোগের কারণে বিশ্ব অর্থনীতির সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনীতিও সমস্যার সম্মুখীন। বিশেষ করে রফতানিমুখী পোশাক শিল্পসহ অন্যান্য শিল্প খাত নানাবিধ চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়েছে। কারণ বিদেশী ক্রেতারা প্রতিনিয়ত ক্রয়াদেশ বাতিলসহ স্থগিত করে চলেছে। ফলে শিল্প-কারখানা চালু রাখা ও শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতনভাতা দেয়া অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে। ঠিক সে মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী তার দূরদর্শী দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে রফতানিমুখী শিল্পের মালিকরা যাতে করে শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতনভাতা প্রদান করতে পারেন, সে জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার একটি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিজিএপিএমইএ ১ হাজার ৭০০-এর অধিক গার্মেন্টস অ্যাকসেসরিজ ও প্যাকেজিং পণ্যের শতভাগ রফতানিমুখী শিল্প-প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি বাণিজ্যিক সংগঠন, যা বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের ৯৫ ভাগ অ্যাকসেসরিজ পণ্য স্থানীয়ভাবে সরবরাহ করে থাকে। এছাড়াও ওষুধ, ক্রোকারিজ, হিমায়িত খাদ্য, সিরামিক, চামড়া ইত্যাদি রফতানি খাতের সব ধরনের মোড়কজাত পণ্যের চাহিদা পূরণ করে থাকে।
বিজিএপিএমইএর সভাপতি মো. আব্দুল কাদের খান আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের বিনীত অনুরোধ, যাতে করে ঘোষিত প্রণোদনা থেকে বরাদ্দ পেয়ে এ সেক্টরের শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের বেতনভাতাদি প্রদান করে আমরা উৎপাদন অব্যাহত রাখতে পারি।