বিশ্বব্যাপী মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসে মৃত্যু ছাড়িয়েছে ২০ হাজার। একইসঙ্গে প্রতিদিনই নতুন করে যোগ হচ্ছে মৃত্যু। বাংলাদেশেও আক্রান্ত বাড়ছে দিনদিন। এ পর্যন্ত মৃত্যুও হয়েছে পাঁচজনের। এর প্রভাব পড়ছে সর্বত্র। দেশের তৈরি পোশাকখাতেও। বাতিল হচ্ছে একের পর এক অর্ডার।
এই করোনার কারণে শুক্রবার (২৭ মার্চ) সকাল ১০টা পর্যন্ত ৯৬৬টি কারখানায় দুই দশমিক ৬৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের (প্রায় সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা) অর্ডার বাতিল হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক উৎপাদন ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
বিজিএমইএ সূত্রে জানা গেছে, ৯৬৬টি কারখানার ৮২৭ কোটি ২৭ লাখ অর্ডার বাতিল হয়ে গেছে। যার আর্থিক পরিমাণ দুই দশমিক ৬৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর এসব কারখানায় মোট ১০ লাখ ৯৬ হাজাট শ্রমিকের কর্মসংস্থান রয়েছে।
বিজিএমইএর মতে, করোনা ভাইরাসের প্রভাবে ভয়াবহ অবস্থা দেশের পোশাকখাতে। বিভিন্ন দেশ থেকে ক্রেতারা তাদের সব অর্ডার আপাতত বাতিল করছেন। বড় ধরনের সংকট তৈরি হয়েছে এ খাতে।
অর্ডার বাতিলে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা বলেন, ভয়াবহ অবস্থা চলছে আমাদের তৈরি পোশাকখাতে। বিভিন্ন দেশের ক্রেতারা তাদের অর্ডার বাতিল করে দিচ্ছেন। তারা বলছেন স্থগিত। তবে আমাদের জন্য স্থগিত ও বাতিল একই জিনিস।
এদিকে, শ্রমিকদের সুরক্ষায় পোশাক কারখানা বন্ধ রাখতে কারখানা মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ড. রুবানা হক। বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) দিনগত রাতে এক বার্তায় তিনি এ আহ্বান জানান।
গণমাধ্যমে পাঠানো বার্তায় বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, মহান স্বাধীনতা এবং জাতীয় দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি সবার সুরক্ষা ও সুস্বাস্থ্যের জন্য সচেতনতামূলক পদক্ষেপ নিতে বলেছেন। প্রধানমন্ত্রীকে অনুসরণ করে সর্ববৃহৎ শিল্প হিসেবে আমাদের দৃষ্টান্ত স্থাপন করা উচিত। আশা করি, এ অবস্থায় কারখানা বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করবেন।
ড. রুবানা হক সরকারের সাধারণ ছুটির সময়ে কারখানা বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, তবে কেউ চাইলে কারখানা খোলা রাখতে পারবেন। পিপিই ও মাস্ক তৈরি হচ্ছে এমন কারখানাগুলো খোলা থাকবে বলে জানা গেছে। পাশাপাশি খোলা রাখা কারখানাগুলোকে শ্রমিকের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। শ্রমিকদের সব দায়িত্ব মালিকদের নিতে হবে।