শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের বেতন ভাতাদি প্রদান করে উত্পাদন অব্যাহত রাখতে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে বরাদ্দ চেয়েছেন তৈরি পোশাক পণ্যের সুইং থ্রেট, বোতাম, কার্টনের মতো অ্যাকসেসরিজ বা অনুসঙ্গ প্রস্তুতকারক প্রচ্ছন্ন রফতানিকারকরা। গত ২৬ মার্চ এক সংবাদ বিবৃতির মাধ্যমে এ দাবি জানান সংশ্লিষ্ট সংগঠন বিজিএপিএমইএ সভাপতি মো. আব্দুল কাদের খান। বিবৃতিতে মো. আব্দুল কাদের খান বলেন, করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে বিদেশী ক্রেতারা প্রতিনিয়ত ক্রয়াদেশ বাতিলসহ স্থগিত করছে। ফলে শিল্প কারখানা চালু রাখা ও শ্রমিক কর্মচারীদের বেতনভাতা দেয়া কঠিন হয়ে গেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী রফতানিমুখি শিল্পের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। বিজিএপিএমইএ ১ হাজার ৭০০ এর অধিক গার্মেন্টস অ্যাকসেসরিজ ও প্যাকেজিং পণ্যের শতভাগ রফতানিমুখি শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি বাণিজ্যিক সংগঠন যা বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের ৯৫ ভাগ অ্যাকসেসরিজ পণ্য স্থানীয়ভাবে সরবরাহ করে থাকে এমন তথ্য উল্লেখ করে মো. আব্দুল কাদের খান বলেন, এছাড়াও ওষুধ, ক্রোকারিজ, হিমায়িত খাদ্য, সিরামিক, চামড়া ইত্যাদি রফতানিখাতের সব ধরনের মোড়কজাত পণ্যের চাহিদা পূরণ করে থাকে। বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যাকসেসরিজ অ্যান্ড প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএপিএমইএ) সভাপতি মো. আব্দুল কাদের খান আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিজিএপিএমইএর বিনীত অনুরোধ, এ খাত যেন ঘোষিত প্রণোদনা থেকে বরাদ্দ পেয়ে সব শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের বেতন ভাতাদি দিয়ে উৎপাদন অব্যাহত রাখতে পারে।