চলতি অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে রফতানি আয়ে বড় রকমের হোঁচট খেলেও পাটপণ্যের রফতানি আয় সুখবর দিচ্ছে বাংলাদেশকে। ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) পাট ও পাটজাত পণ্যের রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৪.৪৫ শতাংশ। বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ইপিবির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৯-২০ অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে পাটপণ্যে লক্ষ্যমাত্রা থেকে আয় বেড়েছে ২৮.১২ শতাংশ। এ সময়ে এই খাত থেকে আয় এসেছে ৬৯ কোটি ৭৬ লাখ ডলার। তবে পাটপণ্যে রফতানি আয় লক্ষ্যমাত্রা ছাড়ালেও চলতি অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে রফতানি আয়ে বড় রকমের হোঁচট খেয়েছে বাংলাদেশ। ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) ২ হাজার ৬২৪ কোটি ১৮ লাখ ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে। এই আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৪.৭৯ শতাংশ কম। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কমেছে ১২.৭২ শতাংশ। ইপিবির তথ্য বলছে, ফেব্রুয়ারি মাসে প্রবৃদ্ধি ও লক্ষ্যমাত্রা কোনটাই স্পর্শ করতে পারেনি দেশের তৈরি পোশাক খাত। চলতি অর্থবছরের ৮ মাসে ২ হাজার ১৮৪ কোটি ৭৫ লাখ ডলারের পোশাক রফতানি হয়েছে। এই আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৫.৫৩ শতাংশ কম। একই সঙ্গে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় আয় কমেছে ১৩.৪৫ শতাংশ। এদিকে, চামড়া রফতানিতেও নেতিবাচক প্রবণতা রয়েছে। অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে ৯.৪ শতাংশ কম প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে চামড়াজাত পণ্য রফতানিতে। এ খাত থেকে আয় এসেছে ৬৩ কোটি ১৮ লাখ ডলার। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রফতানি আয় কমেছে ১২.৫১ শতাংশ। গত অর্থবছর জুড়েও চামড়াজাত পণ্য রফতানিতে আয় ও লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি।
এছাড়া গত আট মাসে প্লাস্টিক পণ্যে প্রবৃদ্ধি কমেছে ১.৮ শতাংশ। এ সময়ে আয় হয়েছে ৭ কোটি ৫৪ লাখ ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ২৩.৯১ শতাংশ কম। গত ৭ মাসে হোম টেক্সটাইল খাতে প্রবৃদ্ধি ও লক্ষ্যমাত্রা দু’টিই কমেছে। এ সময় আয় এসেছে ৫২ কোটি ৬০ লাখ ডলার। ২০১৯-২০ অর্থবছরের জুলাই ফেব্রুয়ারি মাস শেষে কৃষি পণ্য রফতানি আয়ের প্রবৃদ্ধি বাড়লেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। এ খাত থেকে আয় এসেছে ৬৬ কোটি ৭৩ লাখ ডলার। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রফতানি আয় কমেছে ৯.৮৩ শতাংশ। অন্যদিকে আগের অর্থবছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ৩.৮৩ শতাংশ।