Home বাংলা নিউজ পোশাক খাত কি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে?

পোশাক খাত কি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে?

করোনার আগে প্রায় কয়েক দশক ধরে, তৈরি পোশাক খাতের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি আমাদের প্রীত করেছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের মোট রপ্তানির পরিমাণ ছিল ২৮ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে তা দাঁড়ায় ৩০ দশমিক ৬ বিলিয়নে এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তা ৩৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। আরও আশাব্যঞ্জক বিষয়টি ছিল ২০২১ সাল নাগাদ বাংলাদেশ ৫০ বিলিয়ন ইউএস ডলার মূল্যের তৈরি পোশাক রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল ।

তবে ধীরে ধীরে, বিশেষ করে করোনাকালে এসে সরকারের অনেক সাহায্য-সহায়তা সত্ত্বেও তৈরি পোশাক খাত এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের অনেকেই অনুধাবন করছেন যে এত দিন ধরে তাঁরা যে প্রক্রিয়া ও পদ্ধতি অনুযায়ী তৈরি পোশাক খাতকে পরিচালনা করে আসছিলেন, ভবিষ্যতে তাঁরা একইভাবে তাঁদের কার্যক্রমগুলো চালিয়ে যেতে পারেন না। এ ক্ষেত্রে তৈরি পোশাক প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের ব্যবসায়িক রূপান্তরের ক্ষেত্রে নতুন পন্থার উদ্ভাবন ঘটাতে হবে। অন্যান্য দেশের পোশাকশিল্প, যারা এমনকি করোনাকালেও দ্রুততার সঙ্গে তাদের তৈরি পোশাকের রপ্তানি কার্যক্রম বৃদ্ধি করে চলেছে, তাদের সঙ্গে তীব্র প্রতিযোগিতার মাধ্যমে টিকে থাকতে হলে আমাদের দেশের ব্যবসায়ীদের অবশ্যই নিজেদের নতুন করে তৈরি করা জরুরি।

এ ক্ষেত্রে প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন হলো দুটি প্রধান শক্তি, যা বাংলাদেশের পোশাক খাতের কাঙ্ক্ষিত প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। প্রযুক্তিগত সমাধান বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে বড় ধরনের প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা দিচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে পোশাকশিল্পও। উৎপাদন প্রক্রিয়ার উন্নয়ন, উৎপাদনের অচলাবস্থা কাটিয়ে ওঠা, সরবরাহের ক্ষেত্রে বিলম্ব দূর, সামগ্রিক ব্যয় হ্রাস এবং গুণগত মান উন্নয়নের লক্ষ্যে তৈরি পোশাক প্রতিষ্ঠানগুলো প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী সংস্কৃতি তৈরির চেষ্টায় নিয়োজিত, যাতে তারা গ্রাহকদের সর্বোচ্চ মানের পণ্য সরবরাহে সক্ষম হয়।

যেকোনো কোম্পানির দীর্ঘমেয়াদি সাফল্য নির্ভর করে ধারাবাহিকভাবে ক্রেতাদের প্রত্যাশা পূরণের সক্ষমতার ওপর, কেননা এটি বাজারে কোম্পানির পণ্য এবং পরিষেবাগুলোকে ঘিরে বড় ধরনের চাহিদা তৈরি করে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত মূলত বড় ধরনের রপ্তানিনির্ভর শিল্প। এর গ্রাহকদের একটি বড় অংশই তৈরি পোশাকের খুচরা বিক্রেতা, যাদের বেশির ভাগই ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা এবং এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোর পাশাপাশি লাতিন আমেরিকা এবং অতি সম্প্রতি তৈরি হওয়া বেশ কিছু উদীয়মান বাজারগুলোয় বৃহত্তর রিটেইল চেইনের মাধ্যমে তাদের পণ্য বিক্রি করে। এ ক্রেতারা সাধারণত আসন্ন মৌসুমে নির্দিষ্ট ধরনের পোশাকের আগাম ফরমাশ দিয়ে থাকেন, যেখানে তাঁদের পছন্দসই নির্বাচিত কাপড় ব্যবহার করতে হয় এবং যা কিনা পালাক্রমে সুনির্দিষ্ট সুতা দিয়ে তৈরি। যেহেতু এখানে ভ্যালু চেইনের পরিধি বিস্তৃত এবং কাজের বেশির ভাগ প্রক্রিয়াই স্বয়ংক্রিয় নয়, তাই ফরমাশ প্রদান এবং পণ্য সরবরাহের মধ্যকার সময়সীমা বেশি হয়ে থাকে।

ব্যবসায়ীদের কাছে ক্রেতাদের প্রত্যাশা থাকে যে তারা বছরের শুরুতে প্রতিশ্রুতি অনুসারে চাহিদা মোতাবেক সুনির্দিষ্ট নকশা, আকার ও রঙের পোশাক সরবরাহ করবে। বিলম্বিত চালান (অসম্পূর্ণ বা ভুল চালান) খুচরা বিক্রেতাদের জন্য বড় ধরনের সমস্যা তৈরি করে। কারণ, এর মাধ্যমে কোনো একটি উপকরণের মজুত ফুরিয়ে যেতে পারে, যেটি হয়তো ওই মৌসুমে অনেক দ্রুত বিক্রি হয়েছে অথবা একই সময়ে হয়তো বিক্রি না হওয়ার ফলে বিক্রেতাদের হাতে একই ধরনের অনেক কাপড় থেকে যেতে পারে। বিক্রয় ক্ষতি, অ-চলমান মজুত, মূল্যছাড়, জরিমানা এবং সুনামের ক্ষতির পরিপ্রেক্ষিতে তৈরি পোশাকের গ্রাহকদের জন্য যা লোকসানেরই নামান্তর, আর এর জন্য তারা মূলত তাদের সরবরাহকারীদেরই দায়ী করে। এ ধরনের ক্ষতির বিপরীতে সাধারণভাবে যা করতে হয়, তা হলো মৌসুম শেষে ডিসকাউন্ট বা মূল্যছাড়। পোশাক খাতের সাধারণ গ্রাহকের প্রত্যাশা থাকে সঠিক পণ্য, সঠিক মান, সঠিক পরিমাণ এবং সঠিক সময়। তা ছাড়া উৎপাদন খরচ কমাতে ক্রমবর্ধমান চাপ পরিস্থিতিকে আরও কঠিন করে তোলে। তৈরি পোশাক খাতের গ্রাহকদের প্রত্যাশার পরিমাপ করা সহজ, কিন্তু তা পূরণ করা ততটাই কঠিন।

এ খাতের ব্যবসায়ীদের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে বিভিন্ন ধরনের অনিশ্চয়তার সম্মুখীন হতে হয়, যা কিনা প্রায়ই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পণ্যের চালান পৌঁছানো, গুণগত মান বজায় রাখা এবং পণ্যের বিক্রয় মূল্যের ওপর প্রভাব ফেলে। এ ধরনের সমস্যা মোকাবিলা করতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক ব্যবসায়ীরা বর্তমানে পরীক্ষিত পরিচালন দক্ষতা দর্শন বা টাইম টেস্টেড ফিলোসফিতে মনোযোগী হয়ে উঠেছেন। এই দর্শন বিশ্বজুড়ে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসাসুবিধা প্রদান করেছে। তাই বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের ব্যবসায়ীদের ধারণাটি প্রয়োগের এখনই উপযুক্ত সময়। পরিচালন দক্ষতা মূলত ব্যাপক পরিসরে ব্যবসায়িক উন্নয়ন কাঠামো, যেখানে সেরা সব সরঞ্জাম যেমন, লিন, সিক্স সিগমা, টোটাল প্রোডাকটিভিটি ম্যানেজমেন্ট (টিপিএম), থিওরি অব কনস্ট্রেইন্টস (টিওসি), অ্যাডজাস্ট-ইন-টাইম (এআইটি) ইত্যাদি পদ্ধতিগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের লাভজনক প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করা হয়। ওই সব সরঞ্জাম ও পদ্ধতি কোম্পানিকে তাদের উৎপাদন বৃদ্ধি, পর্যায়ক্রমিক খরচ হ্রাস, গুণগত মানের উন্নয়ন, প্রতিটি স্তরের ত্রুটি দূরীকরণ, নির্দিষ্ট তারিখে সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করে। তা ছাড়া এটি গ্রাহককে সম্পূর্ণভাবে নতুন অভিজ্ঞতা প্রদান করে। প্রযুক্তিগত রূপান্তর এবং উদ্ভাবন সত্যিকার অর্থেই একটি প্রতিষ্ঠানকে পরিচালন শ্রেষ্ঠত্বের দিকে দ্রুত যাত্রার ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে।

প্রযুক্তিগত রূপান্তর প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি পরিবর্তনে নেতৃত্ব দেওয়ার মাধ্যমে গ্রাহক-সন্তুষ্টির উন্নতীকরণের পাশাপাশি সাংগঠনিক দক্ষতা ও কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে। তা ছাড়া এটি সামগ্রিক মান প্রবাহজুড়ে উপকরণ-প্রবাহের পাশাপাশি তথ্যপ্রবাহের স্বচ্ছতা নিশ্চিতের মাধ্যমে সামগ্রিক সরবরাহ শৃঙ্খলে দৃশ্যমানতা তৈরি করতে পারে, যা কিনা পোশাক খাতের মতো গ্রাহক-সন্তুষ্টিনির্ভর কার্যক্রম পরিচালনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি পরিচালন দক্ষতার মধ্যে রয়েছে ভ্যালু স্টিম ম্যাপ (ভিএসএম)। এটা উৎপাদন-চক্রের সময় কমানো, অপচয় হ্রাস, সামগ্রিক উৎপাদন-প্রক্রিয়ার দৃশ্যমানতা এবং উপকরণ ও তথ্যপ্রবাহ তুলে ধরার জন্য অত্যন্ত কার্যকর হাতিয়ার। যখন জটিল কোনো প্রক্রিয়ার জন্য একবার ভিএসএম চালু করা হয়, তখন ব্যাপকভাবে প্রযুক্তিগত সমাধান ব্যবহার করার মাধ্যমে প্রক্রিয়ার জটিলতাগুলোকে সহজ করা যেতে পারে। এটি মূল্য যোগ করে না—এমন কার্যক্রমগুলোকে পরিহার করে এবং বড় ধরনের অগ্রগতির নেতৃত্ব দেয়।

এন্টারপ্রাইজ রিসোর্স প্ল্যানিংয়ের (ইআরপি) মাধ্যমে সুতা থেকে চূড়ান্ত পণ্য পর্যন্ত একটি মসৃণ উপাদান-প্রবাহ প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে; তা ছাড়া এটি প্রতিটি পর্যায়ে উপকরণের বিস্তারিত তালিকা তৈরিতে সাহায্য করতে পারে, ক্ষতি নিরূপণ করে এবং সঠিক গুণগত মান অনুসারে সঠিক স্টক কিপিং ইউনিটের (এসকেইউ) উৎপাদন নিশ্চিত করে এবং সঠিক গ্রাহকের কাছে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পণ্য প্রেরণ করে। সংক্ষেপে, প্রযুক্তিগত রূপান্তর প্রতিষ্ঠানগুলোয় তাদের পরিচালন দক্ষতা কর্মসূচিকে সমর্থনের পাশাপাশি গতি সঞ্চারের বিষয়গুলোকে সম্ভব করতে গুরুত্বপূর্ণ অনুঘটকের ভূমিকা পালন করে। বিশ্বজুড়ে পোশাকশিল্পের সামগ্রিক উৎপাদন ক্ষমতার উন্নতির লক্ষ্যে প্রযুক্তিসরঞ্জাম এবং কৌশলগুলো বারবার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তাই বিলম্ব না করে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত-সংশ্লিষ্টদেরও এটি অনুসরণ করা উচিত।

প্রযুক্তিগত রূপান্তর কীভাবে তথ্য বিশ্লেষণকে সমর্থনের মাধ্যমে দক্ষতার উন্নতি ও আরও ভালো তথ্য ব্যবস্থাপনার দিকনির্দেশনা দান করা এবং কর্মক্ষমতা নিরীক্ষণ করে, তার উদাহরণ আমাদের কাছেই রয়েছে।

বর্তমানে তৈরি পোশাকশিল্প একটি সংকটময় মুহূর্ত বা চ্যালেঞ্জের মুখে উপনীত। তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে খাতটির বিকাশেরও অপরিমেয় সুযোগ রয়েছে। অন্যদিকে, অন্যান্য তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশের পক্ষ থেকে আমাদের মারাত্মক প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। ব্যবসায়ের সফলতা ধরে রাখার জন্য একটি প্রতিযোগিতামূলক পটভূমি তৈরি অত্যন্ত জরুরি হয়ে উঠেছে। তাই তৈরির পোশাক খাতটিকে বর্তমান ব্যবসায়িক চ্যালেঞ্জগুলোকে দ্রুত জয় করতে হবে। এ ক্ষেত্রে যেসব প্রতিষ্ঠান প্রযুক্তিগত রূপান্তরের মাধ্যমে পরিচালনা দক্ষতা বাড়িয়েছে, দীর্ঘ মেয়াদে তারা তাদের ব্যবসায়িক কর্মক্ষমতাতে উল্লেখযোগ্য উন্নতি অর্জন করতে পারে। প্রযুক্তিগত রূপান্তর এবং উদ্ভাবনের মাধ্যমে পোশাক খাত গ্রাহকের প্রত্যাশাকে—সঠিক পণ্য, সঠিক মান, সঠিক পরিমাণ, সঠিক সময়—চিহ্নিত করতে সক্ষম হবে।

২০১৯-২০ অর্থবছরের মে পর্যন্ত ১১ মাসে আমাদের তৈরি পোশাক রপ্তানি ২৫ বিলিয়ন ডলার। জুন পর্যন্ত এর পরিমাণ ২৭ বিলিয়ন ডলারের বেশি হবে না বলে অনেকেই মনে করছেন। সংখ্যাটি গেল বছরের তুলনায় ২০ শতাংশেরও বেশি হ্রাস পেয়েছে এবং প্রাক্কলনের তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ কম। ২০২১ অর্থবছরে ভোক্তার চাহিদার রকমফের এবং বিক্রেতার প্রকারভেদে পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা থাকলেও পোশাকের ব্যবহার এবং রপ্তানি বাড়বে বলে অনেকে মনে করলেও প্রায় সবাই বলছেন, এই সুযোগ নেবে ভিয়েতনাম ও অন্য কিছু দেশ, বাংলাদেশ নয়। ‘ফরমাল ওয়্যার’ থেকে ‘ক্যাজুয়াল ওয়্যারে’ বা হাইস্ট্রিট রিটেইল শপ থেকে ‘মম অ্যান্ড পপ’ শপে ভোক্তার শিফট হয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের রপ্তানি আরও কমে যেতে পারে বলে অনেকের আশঙ্কা। ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের রপ্তানি কমেছে ১৫ শতাংশ, ইউরোপে ১০ শতাংশ আর ভিয়েতনামের কমেছে ৫ শতাংশ। আগামী বছরে পোশাক রপ্তানি ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ কমে যেতে পারে বলে অনেকেই আশঙ্কা করছেন। এদের অনেকেই এ ক্ষেত্রে ‘পেনি ওয়াইজ পাউন্ড ফুলিস’ বলে ক্রেতাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দুর্বল আইনি চুক্তিকেও দুষছেন। প্রায় সবাই বলছেন, শুধু সরকারি সহায়তায় নয়, পোশাকশিল্পকে উঠে আসতে হবে আপন শক্তিতে। শ্রমিক-সুপারভাইজারসহ সব স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে নিয়ে, প্রযুক্তি ও ব্যবস্থাপনা দক্ষতায়। উদ্ভাবনী শক্তি আর অভিনবত্বকে সঙ্গী করে।

অনেকেই বলছেন, রপ্তানিই করতে পারছি না, নতুন প্রযুক্তি ও ব্যবস্থাপনায় বিনিয়োগের টাকা পাব কোথায়? ভবিষ্যতের জন্য টাকা বাঁচিয়ে কিংবা আগের সঞ্চয় বা মুনাফা থেকে হলেও নতুন ডিজাইন, প্রোডাকশন লাইন বা শ্রমিকের দক্ষতা উন্নয়নে সঠিক বিনিয়োগের এখনই সময়। এমনকি ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে বিজনেস টু বিজনেসের (বিটুবি) পরিবর্তে সংযোগ স্থাপন করতে হবে বিজনেস টু কনজিউমার (বিটুসি) বা ছোট ছোট ভোক্তাগোষ্ঠীর সঙ্গে। বাংলাদেশের জমিলা আর রহিমার গল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে ফেলতে হবে নতুন ও উদীয়মান ভোক্তাদের। জোট বেঁধে কাজ করতে পারলে উন্নয়ন-সহযোগীদেরও সঙ্গে মিলতে পারে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here