দেশের প্রধান রফতানি খাত হিসেবে তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য সরকার নগদ প্রণোদনাসহ সব ধরনের সুযোগ সুবিধা প্রদান অব্যাহত রেখেছে। ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে তৈরি পোশাক রফতানির সব ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ১ শতাংশ হারে রফতানি প্রণোদনা প্রদান করা হচ্ছে। বিদ্যমান অন্যান্য প্রণোদনার সঙ্গে ১ শতাংশ হারে অতিরিক্ত রফতানি প্রণোদনা অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বৃহস্পতিবার (১১ জুন) জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতায় এই প্রস্তাব করেন তিনি।
২০২০-২১ অর্থবছরের ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম. মুস্তফা কামাল। বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় সংসদের বিশেষ বাজেট অধিবেশনে ‘অর্থনৈতিক উত্তরণ ও ভতিষ্যৎ পথ পরিক্রমা’ শীর্ষক স্লোগান সম্বলিত ১১০ পৃষ্ঠার বাজেট বক্তৃতা শুরু করেন তিনি।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য উত্তেজনা এবং বিশ্ব অর্থনীতির মন্দাজনিত কারণে ২০২০ সালে বিশ্ব পণ্যবাণিজ্য হ্রাসের পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে। ফলে বাংলাদেশেও তৈরি পোশাকসহ সার্বিক রফতানি ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে। উন্নত বিশ্বের চাহিদা হ্রাসজনিত কারণে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের তুলনায় সাম্প্রতিক সময়ে তৈরি পোশাক রফতানিতে ঋণাত্বক ধারা পরিলক্ষিত হচ্ছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণে বিশ্বব্যাপী লকডাউনের কারণে সামনের দিনগুলাতে এই রফতানি আরও কমবে। আশা করা যায়, করোনার প্রভাব মোকাবিলায় সরকার প্রদত্ত আর্থিক প্রণোদনার সুবিধা নিয়ে বস্ত্র ও তৈরি পোশাক শিল্প ঘুরে দাঁড়াবে এবং আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরে রফতানি প্রবৃদ্ধির কাঙ্খিত ধারায় ফিরতে পারবে। বিদ্যমান অন্যান্য প্রণোদনার সঙ্গে আমি ১ শতাংশ হারে এই অতিরিক্ত রফতানি প্রণোদনা অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করছি।
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনের জন্য আহ্বান জানান। এর পরই অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতা উপস্থাপন করেন।