করোনায় তৈরি পোশাক খাতের ধসে গ্রামীণ অর্থনীতিসহ কর্মসংস্থানে বড় ধরনের ধাক্কা আসতে পারে। দেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাতটি যেকোনো মূল্যে টিকিয়ে রাখতে হবে। কেননা এর বিকল্প কোনো রপ্তানি খাত এখনো তৈরি হয়নি। এটা যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়; তাহলে দেশের কর্মসংস্থানসহ দেশের ক্ষুদ্র অর্থনীতি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এরই মধ্যে এ খাতের রপ্তানির প্রায় ৫০ শতাংশের বেশি নেতিবাচক। এটি আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৩০ শতাংশ পর্যন্ত নেতিবাচক থাকার আশঙ্কা রয়েছে। অর্থাৎ এই সময়ে মোট রপ্তানির প্রায় ৮০০ থেকে ৯০০ কোটি ডলার আয় কম থাকবে। করোনার ধাক্কায় ধস নেমেছে দেশের রপ্তানিতে। গত মে মাসে এক লাফে রপ্তানি আয় কমেছে ৬২ শতাংশ। দেশের গ্রামীণ অর্থনীতিতে প্রবাসী আয়ের মতো অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স হিসেবে অবদান রাখে পোশাক খাত। এ খাতের ধাক্কা একটি সামাজিক অস্থিরতা তৈরি করবে। সরকার শিগগিরই বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে না পারলে গ্রামীণ অর্থনীতিতে ধস নামবে। এটা সামাল দেওয়া কঠিন হবে। তাই কর্মচ্যুত শ্রমিকসহ অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের কর্মীদের সামাজিক সুরক্ষার আওতায় নিয়ে আসা জরুরি। সরকার তাদের জন্য বিশেষ তহবিল করতে পারে। এর আগে পোশাকসহ বিভিন্ন শিল্প খাতে কর্মচ্যুতির ঘটনা ঘটেছে। করোনাকালে এসে সেই ধাক্কা লেগেছে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতেও। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ‘অর্থনৈতিক মন্দা’র কথা উল্লেখ করে ব্যাংক কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা কমিয়ে দেওয়াসহ একগুচ্ছ সুপারিশ সদস্যদের কাছে পাঠিয়েছে ব্যাংক মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি)। আগামী দেড় বছর ব্যাংক কর্মকর্তাদের প্রমোশন, ইনক্রিমেন্ট, ইনসেনটিভ বোনাস বন্ধ রাখারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এ সময়ে ব্যাংকের চলমান নিয়োগসহ সব ধরনের নিয়োগ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।