Home Recent বাংলা‌দে‌শে অ্যাক‌র্ডের সমা‌প্তি

বাংলা‌দে‌শে অ্যাক‌র্ডের সমা‌প্তি

২০১৩ সালে সাভারে রানা প্লাজা ধসের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলা‌দে‌শের পোশাক কারখানার সংস্কার তদারকি শুরু করে ক‌য়েক‌টি আন্তর্জাতিক ক্রেতা জোট। যা‌দের অন্যতম ইউরোপভিত্তিক জোট অ্যাকর্ড।২০১৪ সালে শুরু করা এ জোটটি ব‌র্ধিত মেয়াদ শেষ হওয়ায় তা‌দের ঢাকা কার্যালয়টি বন্ধের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দি‌য়েছে।

অ্যাকর্ডের পক্ষে এক বিজ্ঞপ্তিতে ব্যারিস্টার ওমর এইচ খান বলেন, আমার মক্কেল স্টিকটিং বাংলাদেশ অ্যাকর্ড ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে সব সরকারি সংস্থা এবং অন্য সব সংস্থা, কর্তৃপক্ষ এবং ব্যক্তিবর্গ যাদের স্টিকটিং বাংলাদেশ অ্যাকর্ড ফাউন্ডেশনে সঙ্গে কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা রয়েছে তাদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, আমার মক্কেল তার বাংলাদেশ লিয়াজোঁ অফিসের সব কার্যক্রম এবং তাদের সব অ্যাকাউন্টিং রেকর্ডস ৩১ মে (রোববার) থেকে বন্ধ থাকবে।

নির্ধারিত তারিখের মধ্যে প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে লিয়াজোঁ/প্রতিনিধি অফিস বন্ধের অনুমতির জন্য, অফিস বন্ধের আবেদন এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়নের (বিআইডিএ) কাছে জমা দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

এর আগে গত ১৬ জানুয়ারি এক বিবৃতিতে অ্যাকর্ড জানিয়েছিল, শর্তসাপেক্ষে এ জোটটি নিরীক্ষা কর্মসূচির মাধ্যমে পোশাক কারখানার মূল্যায়ন কার্যক্রম সমাপ্তি কর‌বে।

ওই‌দিন বিবৃতিতে জানা‌য়, বাংলাদেশের স্থানীয় আইনের আওতায় পোশাক খাতের সংস্কার কাজের তদারকি হবে বলে একমত হয়েছে সংস্কার তদারকিতে নতুন প্ল্যাটফর্ম আরএমজি সাসটেইনেবল কাউন্সিলের (আরএসসি) এবং ইউরোপের ক্রেতাদের জোট অ্যাকর্ড এবং পোশাক খাতের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ।

জানা গেছে, অ্যাকর্ডের পূর্বঘোষিত মেয়াদ শেষ হয় ২০১৮ সালের জুন মাসে। কিন্তু কারখানার সংস্কার অনগ্রসরতা গতি ও শ্রম অধিকার নিরাপত্তাহীনতার কারণ দেখিয়েই মেয়াদ বৃদ্ধির পরিকল্পনা ঘোষণা করে ক্রেতা জোটটি। এদিকে কারখানার মূল্যায়ন কার্যক্রম ও সংস্কারের বিষয় নিয়েই বিক্ষুব্ধ কারখানা কর্তৃপক্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়। গত বছর মে মাসে আদালতের অ্যাকর্ডকে ২৮১ দিন সময় দেয়। গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে ‘আরএমজি সাসটেইনেবিলিটি কাউন্সিল’ (আরএসসি) প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আলোচনা শুরু হয় অ্যাকর্ড ও বিজিএমইএর মধ্যে। সেপ্টেম্বরের আলোচনায় সব পক্ষ চলতি বছরের মে মাসের মধ্যে অ্যাকর্ড এবং এর সব কাজের (পরিদর্শন, প্রতিকার, প্রশিক্ষণ ও নিরাপত্তা-অভিযোগ প্রক্রিয়া) একটি সাবলীল হস্তান্তর নিশ্চিত করতে বিবিধ বিষয়ে একমত হয়। যার ধারাবাহিকতায় ১৪ জানুয়ারি অ্যাকর্ডের স্টিয়ারিং কমিটির প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন বিজিএমইএ প্রতিনিধিরা। একটি ট্রানজিশন চুক্তির মাধ্যমে আরএসসি গঠন ও এর ধারা অনুসরণের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়।

ট্রানজিশন চুক্তির গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের মধ্যে আছে কার্যকর ফলাফলের কারণে এরই মধ্যে অ্যাকর্ডের পক্ষ থেকে নেয়া নথিবদ্ধ সিদ্ধান্ত, নীতি ও প্রটোকল আরএসসি অব্যাহত রাখবে। অ্যাকর্ডের কার্যক্রমের স্বচ্ছতা বজায় রাখা হবে। অ্যাকর্ডের বিদ্যমান সংশোধনমূলক পরিকল্পনা অনুযায়ী কারখানার মূল্যায়ন কর্মসূচি আরএসসির আওতায় অব্যাহত রাখা হবে। ঢাকায় অ্যাকর্ডের সব কার্যক্রম, কর্মী, অবকাঠামো আরএসসিতে স্থানান্তর করা হবে। আরএসসিতে স্বাধীন, স্বতন্ত্র ও অ্যাকর্ডের রিপোর্টিং পদ্ধতি অনুসরণ করে চিফ সেফটি ইন্সপেক্টর নিয়োগ দেয়া হবে। অ্যাকর্ডে প্রচলিত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিষয়ক অভিযোগ পদ্ধতি আরএসসিতে অনুসরণ করা হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here