Home বাংলা নিউজ করোনায় কমেছে কাঁচামাল আমদানি, বিকল্প বাজার খোঁজার পরামর্শ

করোনায় কমেছে কাঁচামাল আমদানি, বিকল্প বাজার খোঁজার পরামর্শ

করোনাভাইরাসের প্রভাবে আমদানি করা কাঁচামালের অভাবে ব্যাহত হচ্ছে রফতানি খাতের উৎপাদন। চীন নির্ভরতা বাড়ায় ওষুধ ও পোশাক খাতের মতো রফতানিমুখী খাতের কাঁচামাল আমদানি কমেছে ৩ থেকে সর্বোচ্চ ২২ শতাংশ পর্যন্ত। এমন অবস্থা চলতে থাকলে রফতানিখাতগুলো দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতির মুখে পড়তে পারে বলে শঙ্কা সংশ্লিষ্টদের। ঝুঁকি এড়াতে এখনই নতুন বাজার খোঁজার পাশাপাশি বিশ্ব সংস্থার সাথে সম্পর্ক বাড়ানোর আহ্বান বিশেষজ্ঞদের। করোনা জ্বরে যখন কাঁপছে বিশ্ব অর্থনীতির চাকা, তখন বাদ যায়নি দেশের কাঁচামাল আমদানি নির্ভর খাতগুলোও। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, গত অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারির তুলনায় চলতি অর্থবছরের একই সময়ে বিভিন্ন শিল্পের কাঁচামাল আমদানি কমেছে। কাপড় তৈরির জন্য ব্যবহৃত সুতা আমদানি কমেছে ২২ দশমিক ৪৪ শতাংশ। তৈরি পোশাক শিল্পে ব্যবহৃত বস্ত্রসামগ্রী আমদানি হ্রাস পেয়েছে ৩ দশমকি ৭২ শতাংশ। ওষুধ শিল্পে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের কাঁচামাল আমদানি কমেছে প্রায় ৭ শতাংশ। বিভিন্ন শিল্পে ব্যবহৃত নানা ধরনের রং জাতীয় ডায়িং পণ্য আমদানি ৪ দশমিক ৪৮ শতাংশ, স্টেপল ফাইবার আমদানি কমেছে ৫ শতাংশ। বস্ত্র ও গার্মেন্ট শিল্পে ব্যবহৃত অন্যান্য কাঁচামাল আমদানি কমেছে প্রায় ৪ শতাংশ। কাঁচামাল আমদানিতে ঘাটতি ও এলসি জটিলতায় বেসামাল রপ্তানিমুখী খাতগুলো। ওষুধ শিল্প সমিতির মহাসচিব এস এম সফিউজ্জামান বলেন, মানুষ সুযোগ পেলেই দাম বাড়িয়ে দেয়। প্যারাগন সিরামিক ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেডের পরিচালক মোহাম্মদ জহির বলেন, যে অর্ডারগুলো ছিল বায়াররা ক্যানসেল করেছে। এখন নতুন কোনো অর্ডার ইউরোপ বা আমেরিকা থেকে আসছে না। স্যাম্পল ডেভেলপমেন্ট চলছে। আশা করি ২ মাস পর অর্ডার হয়ে যাবে। রপ্তানিমুখী পণ্য উৎপাদনে সরকারী সহায়তার কোনো বিকল্প নেই বলে জানান ব্যবসায়ীরা। বিজিএপিএমইএ’র সভাপতি আব্দুল কাদের খান বলেন, আমরা কোনো অ্যাকসেসরিস এখন পর্যন্ত পাচ্ছি না। প্রায় হাফ বিলয়ন ডলারের জিনিস আটকে গেছে। সংকট মোকাবিলায় নতুন নীতি প্রণয়নের পাশাপাশি বিশ্ব সংস্থার সাথে সম্পর্ক বাড়ানোর আহ্বান বিশেষজ্ঞদের। বাংলাদেশ জার্মান চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ব্যারিস্টার ওমর সাদাত বলেন, একটা দেশের উপর নির্ভর করে যদি ব্যবসা করতে হয়, সাপ্লাই চেনে তার কি প্রভাব পড়তে পারে, পৃথিবীর সব কোম্পানি তা বুঝে গেছে। বাংলাদেশের মোট আমদানির ২৬ শতাংশ আসে চীন থেকে। ভারত থেকে আসে ১৫ শতাংশ। বাকি ৬০ শতাংশ আসে অন্যান্য দেশ থেকে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here