করোনাভাইরাসের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় তৈরি পোশাক ও টেক্সটাইল পণ্য রফতানির অর্থ দেশে আনার ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড় দিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এ দুই খাতের রফতানি পণ্যের মূল্য আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত নিয়মিতভাবেই দেশে আনা যাবে। এর আগ পর্যন্ত গ্রাহকদের রফতানি বিল দেশে না এলেও তাদের বিলখেলাপি করা যাবে না। বাংলাদেশ ব্যাংক বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে। এতে রফতানি বাণিজ্যের নতুন বিধান সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে গ্রাহকদের অবহিত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। করোনা মহামারীর প্রকোপ দীর্ঘায়িত হওয়ার কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রফতানি বাণিজ্য সচল রাখার স্বার্থে এ পদক্ষেপ নিল। পণ্য রফতানির ৪ মাসের মধ্যে পণ্যের মূল্য দেশে আনার নিয়ম রয়েছে। ওই সময়ের মধ্যে মূল্য না এলে সংশ্লিষ্ট রফতানিকারকের বিল বকেয়া বলে গণ্য হয়। একই সঙ্গে বিল না আসার কারণে ব্যাক টু ব্যাক এলসির দেনা পরিশোধ করতে না পারলে ব্যাংক গ্রাহকের নামে ফোর্স লোন ইস্যু এলসির দেনা শোধ করে। করোনা মহামারীর কারণে বর্তমানে বিশ্ব বাণিজ্য প্রায় স্থবির। ফলে গত ডিসেম্বর থেকে পণ্য রফতানির অর্থ দেশে আসা কমে গেছে। এ কারণে রফতানির বিল দেশে আনার সীমা প্রথমে বাড়িয়ে ১৮০ দিন বা ৬ মাস করা হয়। করোনার প্রভাব আরও দীর্ঘায়িত হওয়ায় এ দফায় বিল আনার সময় আরও বাড়ানো হল। তবে এ সুবিধা শুধু তৈরি পোশাক ও টেক্সটাইল পণ্য রফতানিকারকরা পাবেন। অন্য রফতানিকারকদের পণ্য রফতানির ১৮০ দিনের মধ্যেই অর্থ দেশে আনতে হবে।