দেশের পোশাক কারখানাগুলো অন্যান্য বারের চেয়ে কম সময় বন্ধ রাখা যেতে পারে বলে মনে করছে সরকার। পাশাপাশি শ্রমিকদের বেতন-বোনাস যথাসময়ে পরিশোধে তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ ও কারখানা মালিকদের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এছাড়া করোনা পরিস্থিতিতে অনলাইন কেনাকাটার ওপর গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে। আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা বিষয়ে রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. শহিদুজ্জামান, আইজিপি ড. বেনজির আহমেদসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের কর্মকর্তারা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সভায় বেশকিছু বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সেগুলো হলো- স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পশুর হাটে সাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য একটি গাইডলাইন তৈরি করছে। গাইডলাইন বাস্তবায়নের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে। ঢাকা শহরের বাইরে পশুর হাট বসানোর জন্য ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও সিটি করপোরেশন ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এছাড়া এ বছর অনলাইন কেনাকাটার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, পশুর হাটের ইজারাদারদের ব্যবস্থায় হাটের প্রবেশ পথে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা (বেসিনসহ) রাখতে হবে। ক্রেতাদের মাস্ক পরিধান করে হাটে প্রবেশ করতে হবে। কোনো ক্রেতা মাস্ক পরে না আসলে ইজারাদারদের কাছে সংরক্ষিত মাস্ক ক্রয় করে হাটে প্রবেশ করতে হবে। এছাড়া হাটের কাছে ব্যাংক বুথ থাকবে। রাস্তাঘাটের উপর পশুর হাট দেয়া যাবে না। পশুর ট্রাক কোন হাটে যাবে, ট্রাকের সামনে এরকম একটি ব্যানার লেখা থাকবে। পশুবাহী কোনো গাড়ি রাস্তায় থামানো যাবে না। নিরাপত্তা বাহিনী প্রতিবারের মতো জাল নোট, চাঁদাবাজি, অজ্ঞান-মলম পার্টি হতে নিরাপত্তা দেবে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নদীপথে ফেরি, লঞ্চ ও জাহাজে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করা যাবে না। অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করলে কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশ ব্যবস্থা নিবে। নদীপথে পশুবাহী ট্রলার যাতে অতিরিক্ত বোঝাই (ওভারলোড) না হয় সে ব্যাপারে কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশ লক্ষ্য রাখবে। এতে আরও বলা হয়েছে, পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ ও যথাযথভাবে বিপণনের বিষয়ে শিল্প মন্ত্রণালয় ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। এবারের ঈদুল আজহার জামায়াত মসজিদে আদায়ের জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।