পোশাক খাতে বিদেশি বিনিয়োগে বাধা দেওয়ার ফলে দেশীয় শিল্প প্রতিযোগিতা সক্ষমতা হারিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থনীতিবিদ ও পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, এ কারণে উচ্চ মানের পোশাকে মূল্য সংযোজন হয়নি। বিশ্বব্যাপী কভিড-১৯-এর সংক্রমণ এবং অর্থনৈতিক সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে করণীয় নিয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময়সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ফ্রান্স-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (সিসিআইএফবি) এবং পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই) যৌথভাবে এই সভার আয়োজন করেছে। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশ-বিদেশ থেকে অংশ নেন বক্তারা। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, কভিড-১৯-এর সংকটকে একটা সম্ভাবনায় রূপান্তর করা যায়। তৈরি পোশাকের সুরক্ষা সামগ্রী পিপিই, মাস্ক রপ্তানির বড় সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে দেশের ইমেজ, পণ্যের মান ও ক্রেতাদের সঙ্গে লেনদেন সব ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা রক্ষা করা উচিত।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সম্প্রতি কানাডার একটি ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠান তাদের দূতাবাসের মাধ্যমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি গুরুতর অভিযোগ দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ঢাকার একটি পোশাক কারখানা তাদের সঙ্গে চুক্তিতে উল্লিখিত মানের পোশাকের চেয়ে নিম্নমানের পোশাক দিয়েছে। ওই চালানের মূল্যমান দুই কোটি ডলার। এ ধরনের কর্মকাণ্ড দেশের সুনাম ক্ষুণ্ন করে।
ফ্রান্সে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত কাজী ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, ফ্রান্স বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের অন্যতম বড় বাজার। ৯৬ শতাংশ পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়ায় প্রতিযোগী অন্যান্য দেশের তুলনায় সুবিধাজনক অবস্থানে আছে বাংলাদেশ।
বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক বলেন, কভিডের কারণে তৈরি পোশাকের সরবরাহব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ভেঙে পড়েছে। ক্রেতাদের দৃষ্টিভঙ্গিও এখন একটা বড় ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গির ওপর নির্ভর করছে কভিড-পরবর্তী পোশাক বাণিজ্য কেমন হবে। তবে উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন তাঁরা।