Home Recent ৬ বিলিয়ন ডলার কমিয়ে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৪৮ বিলিয়ন ডলার

৬ বিলিয়ন ডলার কমিয়ে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৪৮ বিলিয়ন ডলার

চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বিদায়ী ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে এই লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৪ বিলিয়ন ডলার। সে হিসাবে চলতি অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা বিদায়ী অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬ বিলিয়ন ডলার কম। তবে ২০১৯-২০ অর্থবছরে রফতানি আয় ছিল ৪০ দশমিক শূন্য ৬ বিলিয়ন ডলার। সে হিসাবে চলতি অর্থবছরের রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা বিদায়ী অর্থবছরের রফতানি আয়ের চেয়ে ৮ বিলিয়ন ডলার বা ১৯ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেশি। বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ২০২০-২০২১ অর্থবছরের রফতানি লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণার লক্ষ্যে  এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিসহ আগের অর্থবছরগুলোর রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ও অর্জন বিবেচনায় নিয়ে নতুন লক্ষ্যমাত্রা হিসাব করা হয়েছে বলে জানান তিনি। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ২০২০-২১ অর্থবছরের রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে আগের দুই অর্থবছরের রফতানির লক্ষ্যমাত্রা এবং লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে অর্জনের হার বিবেচনা করা হয়েছে। পাশাপাশি আগের অর্থবছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধির হার বিবেচনা করে এই লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আশা করছি এবার অমরা লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে সক্ষম হব। বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীনের সঞ্চালনায় অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত বিষয় উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক, বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির, এফবিসিসিআই‘র সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বিকেএমইএ সহসভাপতি মো. হাতেমসহ অন্যরা। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, গত অর্থবছরে (২০১৯-২০) ৫৪ বিলিয়ন ডলার রফতানির লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রফতানি আয় হয়েছে ৪০ দশমিক শূন্য ৬ বিলিয়ন ডলার। এটি লক্ষমাত্রার চেয়ে ২৬ শতাংশ কম। শুধু তাই নয়, আগের অর্থবছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধিও ১৪ দশমিক ৮০ শতাংশ কম হয়েছে। এবার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের কথা বিবেচনা করে চলতি অর্থবছরে রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৪৮ বিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে পণ্য খাতে রফতানির লক্ষ্য ৪১ বিলিয়ন ডলার, সেবা খাতে ৭ বিলিয়ন ডলার। এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী ২৬ জুলাই ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসে চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। পাশাপাশি এ বছর চামড়া রফতানির বিষয়টিও মাথা রাখা রয়েছে। এছাড়াও ট্যানারি মালিকরা যেন চামড়া কিনতে পারে, সেজন্য তাদের আর্থিক বিষয়টি আমরা গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছি। তবে এবার চামড়া নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না। রফতানি আয়ের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিলে এবার রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হবে বলে মন্তব্য করেন সালমান এফ রহমান। তিনি বলেন, করোনাকালে আমাদের রফতানি আয়ের সঙ্গে নতুন পণ্য হিসাবে যোগ হয়েছে পিপিই ও মাস্ক। এই দুইটি পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি তৈরি পোশাক খাতের পাশাপাশি চামড়া, পাট, ফার্মাসিটিক্যালস ও আইটি খাতে আমাদের সম্ভবনা দিন দিন বাড়ছে।এই সম্ভবানাকে কাজে লাগাতে হবে। সালমান এফ রহমান আরও বলেন, ৩০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে ব্যবসায়ীরা তাদের প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের বেতন দিতে পারবেন। এ ব্যাপারে আমি বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে কথা বলেছি। এফবিসিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, করোনকালেও এ বছর রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হবে। তবে সরকারের উচিত হবে প্রণোদনা প্যাকেজের অর্থ দ্রুত ছাড় করার ব্যবস্থা করা। কারণ ব্যাংকগুলো অনেক ধীর গতিতে অর্থ ছাড় করছে। বিশেষ করে এসএমই খাতে অর্থ ছাড় হচ্ছে না বললেই চলে। বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক বলেন, করোনাভাইরাস ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে যেমন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে, তেমনি অনেক সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে। এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হবে। তিনি বলেন, সরকার এপ্রিল, মে ও জুন মাসে শ্রমিকদের বেতন দেওয়ার জন্য সহায়তা করেছে। আমরা আশা করব, চলতি জুলাই মাসসহ আগামী আগস্ট, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শ্রমিকদের বেতন দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here