এখন থেকে পোশাক খাতের ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের উদ্যোক্তারা রফতানির বিপরীতে অতিরিক্ত সুবিধা নিতে চাইলে বিদেশি সুতা ও বস্ত্র ব্যবহার করে উৎপাদিত পণ্য রফতানির সময় ৩০ শতাংশ মূল্য বাড়াতে হবে। অর্থাৎ ১০০ টাকা মূল্যের বিদেশি সুতা ও বস্ত্র দিয়ে পণ্য তৈরি করলে তার রফতানি মূল্য কমপক্ষে ১৩০ টাকা হতে হবে। তবেই অতিরিক্ত সুবিধায় নগদ সহায়তা দেওয়া হবে। মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করেছে। সার্কুলারে জানানো হয়েছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ক্ষুদ্র ও মাঝারি হোম টেক্সটাইল ও টেরিটাওয়েলসহ রফতানিমুখী তৈরি পোশাক খাতের (নিট, ওভেন ও সোয়েটার) অন্তর্ভুক্ত সকল ক্ষুদ্র ও মাঝারি উৎপাদনকারী রফতানিকারক শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর অনুকূলে সম্পূর্ণ দেশীয় সুতা/বস্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপাদিত পণ্য রফতানির বিপরীতে বিদ্যমান ব্যবস্থায় দেশিয় বস্ত্রমূল্যের ভিত্তিতে অতিরিক্ত নগদ সহায়তা সুবিধা বলবৎ রয়েছে। সম্পূর্ণ দেশিয় সুতা/বস্ত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে পণ্যে ব্যবহৃত বস্ত্র মূল্যের ওপর নগদ সহায়তা প্রদানের বিদ্যমান এ ব্যবস্থার পাশাপাশি সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ মর্মে জানানো যাচ্ছে যে, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উৎপাদনকারী-রফতানিকারক শিল্প প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ বিদেশি সুতা/বস্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপাদিত পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৩০ শতাংশ স্থানীয় মূল্য সংযোজনের শর্তে স্থানীয় মূল্য সংযোজনের ওপর নগদ সহায়তা প্রাপ্য হবে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি উৎপাদনকারী-রফতানিকারক শিল্প প্রতিষ্ঠান দেশি ও বিদেশি উভয় ধরনের সুতা/বস্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপাদিত পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৩০ শতাংশ স্থানীয় মূল্য সংযোজনের শর্তে স্থানীয় মূল্য সংযোজনের ওপর নগদ সহায়তা প্রাপ্য হবে। সম্পূর্ণ বিদেশি কিংবা দেশি ও বিদেশি উভয় ধরনের সুতা/বস্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপাদিত পণ্য রফতানির বিপরীতে নগদ সহায়তা এবং ডিউটি ড্র-ব্যাক/শুল্ক বন্ড সুবিধা একই সঙ্গে প্রযোজ্য না হওয়ার শর্ত পূর্বের ন্যায় বহাল থাকবে। আলোচ্য নগদ সহায়তা ২০১৯-২০ অর্থবছরে জাহাজিকৃত পণ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। এ সার্কুলার জারির তারিখ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট অনুমোদিত ডিলার ব্যাংক শাখায় আবেদনপত্র দাখিলযোগ্য হবে।