- অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তির (পিটিএ) দরজা খুলেছে। ভুটানের সঙ্গে বাণিজ্যসুবিধা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে পিটিএ অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা কমিটি।
- জানা গেছে, নতুন চুক্তি কার্যকর হলে ভুটানকে আরও ১৬টি পণ্যে সুবিধা দেবে বাংলাদেশ।
- সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, পিটিএ হলে বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক বিনা শুল্কেই ভুটানে যাবে।
অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তির (পিটিএ) দরজা খুলেছে। ভুটানের সঙ্গে বাণিজ্যসুবিধা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে পিটিএ অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা কমিটি। এর ফলে প্রথমবারের মতো কোনো দেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় ভিত্তিতে পিটিএ হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের।
এর ফলে শুল্কমুক্ত সুবিধায় আরও বেশি আমদানি–রপ্তানি করা সম্ভব। শুল্কমুক্ত সুবিধায় পণ্য গেলে সংশ্লিষ্ট দেশের বাজারে অপেক্ষাকৃত কম দামে পণ্য বেচাকেনা করা যায়।
গতকাল সোমবার মন্ত্রিসভা কমিটির ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে ভুটানের সঙ্গে পিটিএ অনুমোদন করা হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে আঞ্চলিক সহযোগিতার লক্ষ্যে এ অঞ্চলের দেশগুলো ‘দক্ষিণ এশিয়া অগ্রাধিকার বাণিজ্য চুক্তি’ (সাপটা) করেছিল, যা পরে ‘দক্ষিণ এশিয়া মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি’তে (সাফটা) পরিণত হয়।বিজ্ঞাপন
বর্তমানে সাফটার আওতায় উভয় দেশ পরস্পরকে বেশ কিছু পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয়। এখন দ্বিপক্ষীয় ভিত্তিতে আরও কিছু পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা মিলবে।
জানা গেছে, নতুন চুক্তি কার্যকর হলে ভুটানকে আরও ১৬টি পণ্যে সুবিধা দেবে বাংলাদেশ। এ ছাড়া ভুটানের কাছ থেকে বাংলাদেশ শতাধিক পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে। ইতিমধ্যে উভয় দেশের মধ্যে এসব পণ্যের তালিকা বিনিময় হয়েছে। উভয় পক্ষের সম্মতিতে তালিকা চূড়ান্ত করা হবে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, পিটিএ হলে বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক বিনা শুল্কেই ভুটানে যাবে। এ ছাড়া পাট ও পাটজাতীয় পণ্য, চামড়াপণ্য ও জুতা, ফ্যান, ব্যাটারি, কনডেন্সড মিল্ক, সিমেন্টসহ বিভিন্ন পণ্যেও শুল্কমুক্ত সুবিধা মিলতে পারে। অন্যদিকে ভুটান থেকে বাংলাদেশ শুল্কমুক্ত সুবিধায় অর্থাৎ অপেক্ষাকৃত কম দামে পাথর, কাঠ, ফলফলাদি ইত্যাদি আমদানি
করতে পারবে।বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশের প্রথম অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি হচ্ছে ভুটানের সঙ্গে। ভুটান আমাদের স্বাধীনতার প্রথম স্বীকৃতি দেওয়া দেশ। এটি সব সময় আমাদের মনে থাকে। পিটিএ হলে উভয় দেশই লাভবান হবে।
জানতে চাইলে বাণিজ্যসচিব মো. জাফর উদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রথম অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি হচ্ছে ভুটানের সঙ্গে। ভুটান আমাদের স্বাধীনতার প্রথম স্বীকৃতি দেওয়া দেশ। এটি সব সময় আমাদের মনে থাকে। পিটিএ হলে উভয় দেশই লাভবান হবে। ভুটানের মাধ্যমে পিটিএর দরজা খুলল। এখন আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে পিটিএ করার আলোচনা হচ্ছে।’
ভুটানের সঙ্গে দিন দিন বাণিজ্য বাড়ছে। ২০১২-১৩ অর্থবছরে উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল আড়াই কোটি ডলারের মতো। এখন তা বেড়ে প্রায় ছয় কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছে।