দেশের রপ্তানি বাণিজ্য উৎসাহিত করতে এবছরও নগদ সহায়তা দেবে সরকার। গত অর্থবছরে যে ৩৭টি পণ্যের বিপরীতে নগদ সহায়তা দেওয়া হয়েছিল ঐ পণ্যগুলো চলতি অর্থবছরের নগদ সহায়তা পাবে। গত সোমবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গত অর্থবছরে উল্লিখিত পণ্য রপ্তানির বিপরীতে বিদ্যমানহারে ২০২০-২১ অর্থবছরেও আলোচ্য সুবিধা বহাল থাকবে।
সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক, নতুনভাবে তৈরি পোশাক খাতে ১ শতাংশ বিশেষ নগদ সহায়তা দেবে সরকার। এছাড়া কনজ্যুমার ইলেক্ট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্স পণ্য খাতে মিলবে ১০ শতাংশ নগদ সহায়তা।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, দেশীয় বস্ত্র খাতে শুল্ক বন্ড ও ডিউটি ড্র-ব্যাকের পরিবর্তে বিকল্প নগদ সহায়তা, বস্ত্র খাতের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের অতিরিক্ত সুবিধা, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ইইউ ছাড়া নতুন পণ্য বা বাজার সম্প্রসারণ সহায়তা, ইউরো অঞ্চলে বস্ত্র খাতে রপ্তানিকারকদের জন্য বিদ্যমান ৪ শতাংশের অতিরিক্ত বিশেষ সহায়তা ২ শতাংশ অব্যাহত থাকবে। এসব সুবিধার বাইরে এবার তৈরি পোশাকশিল্পের যেসব রপ্তানিকারক কোনো নগদ সহায়তা পান না, তাদের জন্য ১ শতাংশ বিশেষ নগদ সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। চামড়াজাত পণ্য, ফার্নিচার, জাহাজ, প্লাস্টিকপণ্য, পেট বোতল-ফ্লেক্স হতে উত্পাদিত পলিইয়েস্টার স্টাপল ফাইবার, শস্য ও শাকসবজির বীজ, পাটকাঠি থেকে উত্পাদিত কার্বন, পাটজাত পণ্য, আলু, সাভারে চামড়া শিল্পনগরীতে স্থানান্তরিত শিল্পপ্রতিষ্ঠান থেকে ক্রাস্ট ও ফিনিশড লেদার, দেশে উত্পাদিত কাগজ ও কাগজ জাতীয় দ্রব্য, আগর ও আতর, কৃষিপণ্য, গরু-মহিষের নাড়িভুঁড়ি, শিং ও রগ (হাড় ছাড়া), হালকা প্রকৌশলপণ্য, হালাল মাংস, হিমায়িত চিংড়ি, একটিভ ফার্মাসিউটিক্যালস ইনগ্রিডাইয়েন্টস (এপিআই), সফটওয়্যার, আইটিইএস ও হার্ডওয়্যার, অ্যাকুমুলেটর ব্যাটারি, সিনথেটিক ও ফেব্রিকস এবং মাছ রপ্তানিতে আগের মতোই নগদ সহায়তা অব্যাহত থাকবে। তবে হোগলা, খড়, আখের ছোবড়া, গাছের পাতা, খোল ও গার্মেন্টসের ঝুট দিয়ে উত্পাদিত পণ্য, পেট বোটল ফ্লেক্স রপ্তানির বিপরীতে ১০ শতাংশ নগদ সহায়তা পাচ্ছে।
গত অর্থবছরে যে ৯টি খাত ও পণ্য নগদ সহায়তার আওতাভুক্ত করা হয় সেগুলো হলো—ওষুধপণ্য, মোটরসাইকেল, সিরামিকদ্রব্য, রেজার ও রেজার ব্লেডস, ফটোভোলটাইক মডিউল, কেমিক্যালপণ্য (ক্লোরিন, হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড, কস্টিক সোডা এবং হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড), টুপি, কাঁকড়া ও কুঁচে (হিমায়িত ও সফটসেল, পরিবেশ ও বন বিভাগের ছাড়পত্র গ্রহণ সাপেক্ষে) এবং গলিত শিট। এসব খাতেও নগদ সহায়তা আগের মতোই অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।