করোনা মহামারি থেকে সুরক্ষায় কারখানা কর্তৃপক্ষের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপে সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন ৮৭ শতাংশ পোশাক শ্রমিক। তাদের মধ্যে ৯১ শতাংশ সুরক্ষা সামগ্রী পেয়েছেন। অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মানতে তাদের নিয়মিত উৎসাহিত করার কথাও জানিয়েছেন তারা। পোশাক শ্রমিকদের জীবনযাত্রায় কভিড-১৯-এর প্রভাববিষয়ক এক জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর এন্ট্রাপ্রেনারশিপ ডেভেলপমেন্টের (সিএডি) প্রকল্প মাপেড ইন বাংলাদেশ ও ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সুবির ও মালিনী চৌধুরী সেন্টার ফর বাংলাদেশ স্টাডিজের তত্ত্বাবধানে এ জরিপ পরিচালনা করা হয়। টেলিফোনে এক হাজার ৫৭ শ্রমিকের সঙ্গে কথা বলে ৩০ জুন থেকে ১৩ জুলাই পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ করা হয়। জরিপের ফল প্রকাশ উপলক্ষে গত বুধবার এক ওয়েবিনারে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, করোনার মধ্যেও পোশাক কারখানা চালু রাখা, শ্রমিকদের সুরক্ষা ও সময়মতো বেতন-ভাতা পরিশোধে সব উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ক্রাইসিস কমিটি গঠন, শ্রমিকদের টেলিমেডিসিন সেবা দেওয়াসহ বিভিন্ন উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেন তিনি। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, পোশাক খাতের বাণিজ্য পুরোপুরি আন্তর্জাতিক হওয়ায় অন্যান্য খাতের তুলনায় এখানে ভিন্নভাবে অতিমারির ধাক্কা সামলাতে হবে। শ্রমঘন হওয়ায় জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব এবং সতর্কতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে। বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক বলেন, স্বাস্থ্যবিধি ও যথাযথ সুরক্ষাসহ কারখানা চালু রাখতে যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছেন উদ্যোক্তারা। সরকারি প্রণোদনার ফলে সময়মতো শ্রমিকদের বেতন-ভাতা ডিজিটাল পেমেন্টের আওতায় পরিশোধ করা সম্ভব হয়েছে। ব্র্যাক সিইডির উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. রহিম বি. তালুকদারের সভাপতিত্বে জরিপের ফলাফল তুলে ধরেন সুবির ও মালিনী চৌধুরী সেন্টার ফর বাংলাদেশ স্টাডিজের পরিচালক ড. সঞ্চিতা ব্যানার্জি সাক্সেনা। জরিপে অংশ নেওয়া ৮২ শতাংশ শ্রমিক জানিয়েছেন, ফেব্রুয়ারির চেয়ে এপ্রিল ও মে মাসে উপার্জন কমেছে। ৫২ শতাংশের সঞ্চয়ও কমেছে এ সময়। ৯২ শতাংশ বলেছেন, করোনার সঙ্গে মানিয়ে নিতে সব খরচ কমিয়েছেন তারা।