স্বাধীনতার পর রাজনৈতিক অঙ্গীকার থেকেই ব্যাপকভাবে জাতীয়করণের উদ্যোগ নেন বঙ্গবন্ধু। বাঙালি ও অবাঙালি পরিচালিত প্রায় সব প্রতিষ্ঠানই অধিগ্রহণ করে সরকার। এ সময় রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো নৈপুণ্য দেখাতে সক্ষম না হলেও সেগুলো ছিল দেশের শিল্পের প্রাথমিক ভিত্তি। কিন্তু পঁচাত্তরে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে নতুন ভাগ্য বরণ করতে হয়। তবে এ পরিবর্তন শুধু বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের ফলাফল ছিল না। ওই সময় বিশ্বজুড়েই রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলো আস্থার সংকটে পড়েছিল। ঠিক তখনই রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ব্যক্তি খাতে ছেড়ে দেয়ার পক্ষে হইচই তোলেন তত্কালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচার। ১৯৭৯ সালে বিরাষ্ট্রীয়করণের যে প্রক্রিয়া মার্গারেট থ্যাচার শুরু করেছিলেন তার নাম দেয়া হয় ‘বেসরকারীকরণ’। তার অনুসরণেই ফ্রান্স, সিঙ্গাপুর, চিলি, মেক্সিকোসহ ৮০টিও বেশি দেশ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেয়ার উচ্চাভিলাষী কর্মসূচি গ্রহণ করে। বাংলাদেশে বেসরকারীকরণ ব্যাপক মাত্রা পায় হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনামলে। এরশাদ ক্ষমতায় আসার পর ১৯৮২ সালের ১ জুন ঘোষণা করা হয় নয়া শিল্পনীতি বা নিউ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পলিসি ১৯৮২। নিউ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পলিসি ঘোষণার এক বছরের মধ্যেই ৬০টি বৃহদায়তনের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের পূর্ণ বিরাষ্ট্রীয়করণ সম্পন্ন হয়। একদিকে ব্যক্তি খাতকে পৃষ্ঠপোষকতার নীতি, অন্যদিকে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের চাপ—এ দুইয়ের প্রভাবে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বেসরকারি হাতে ছেড়ে দেয়ার যে ধারা বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে তার সর্বশেষ উদাহরণ বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশন (বিজেএমসি)। রাষ্ট্রীয় মালিকানধীন সব প্রতিষ্ঠান বন্ধের পেছনেই প্রধান কারণ দেখানো হয়েছিল লোকসান। মিথের মতোই প্রায় সময় বলা হয় রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলো লোকসানি, বেশির ভাগই বন্ধ করে দেয়ার উপযোগী। অথচ সরকারি সংস্থার তথ্যই বলছে, সামগ্রিকভাবে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলো লোকসানে নেই। অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, বিগত পাঁচ অর্থবছরে (২০১৪-১৫ থেকে ২০১৮-১৯) রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলো করপরবর্তী নিট মুনাফা করেছে ৪০ হাজার ৩৬৩ কোটি টাকা। বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ক্লাসিফিকেশন (বিএসআইসি) অনুযায়ী, ৪৯টি রাষ্ট্রায়ত্ত অ-আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে সাতটি খাতে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে শিল্প খাতে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস করপোরেশন (বিটিএমসি), বাংলাদেশ স্টিল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন (বিএসইসি), বাংলাদেশ সুগার অ্যান্ড ফুড ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিএসএফআইসি), বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি), বাংলাদেশ ফরেস্ট ইন্ডাস্ট্রিজ ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন (বিএফআইডিসি) এবং অধুনালুপ্ত বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশন (বিজেএমসি) রয়েছে। গত পাঁচ বছরে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মুনাফা করেছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। ২০১৪-১৫ থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সংস্থাটির করপরবর্তী নিট মুনাফা ছিল ৩২ হাজার ২৩২ কোটি টাকা। বিপিসির পরই এ পাঁচ বছরে সবচেয়ে বেশি লাভে ছিল বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এ সময়ে সংস্থাটির করপরবর্তী নিট মুনাফার পরিমাণ ২১ হাজার ৩২২ কোটি টাকা। মুনাফায় আছে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশনও (পেট্রোবাংলা)। গত পাঁচ বছরে প্রতিষ্ঠানটির নিট মুনাফার পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা। একই সময়ে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ৮৩১ কোটি টাকা, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ১ হাজার ৪৬১ কোটি টাকা এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ৩ হাজার ৩৬৪ কোটি টাকা নিট মুনাফা করেছে। লাভজনক অবস্থানে থাকার বিষয়টি জানতে চাইলে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের পরিচালক (অপারেশন) সৈয়দ মেহেদী হাসান বণিক বার্তাকে বলেন, মূলত আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দামের স্থিতিশীলতা এবং দেশীয় বাজারের দামের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। আগে বিপিসি লোকসান করত, গত কয়েক বছর সেটি লাভজনক অবস্থানে রয়েছে। এটা মূলত হয়েছে সরকার জ্বালানি তেলের দাম ২০১৬ সাল থেকে পরিবর্তন না করায়। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমলেও দেশে তেলের দাম কমানো হয়নি। আবার আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বাড়লেও দেশে দাম আগের ধারায় ছিল। ফলে দামে সামঞ্জস্যতা ঠিক রেখে ব্যবসা করায় বিপিসি মুনাফা করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে যেগুলো লাভ করছে, সেগুলো বেশির ভাগই সেবা খাতের সংস্থা। শিল্প খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর দিকে দৃষ্টি দিলে দেখা যাবে সেগুলোর বেশির ভাগই লোকসানি। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলোকে হয় বন্ধ, নয়তো সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে (পিপিপি) সক্রিয় করার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বণিক বার্তাকে বলেন, সরকারের কিছু প্রতিষ্ঠান আছে যেগুলো রেগুলেটরি বা কর্তৃপক্ষ ধরনের প্রতিষ্ঠান। বিশ্বের সব দেশের মতোই বাংলাদেশেও এ প্রতিষ্ঠানগুলো অর্থ উপার্জনকারী। বাংলাদেশে এ ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলো অর্থ উপার্জনকারী। কিন্তু সরকারের সমস্যা হচ্ছে উৎপাদনশীল খাতগুলোতে। এ খাতগুলোতে সরকার লোকসান গুনছে। এগুলোকে বেসরকারীকরণ করা হোক, নয়তো বন্ধ করে দেয়া হোক। শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের (বিএসইসি) অধীন নয়টি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গড়ে প্রতি বছর প্রায় হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয় করে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সংস্থাটির মুনাফা ছিল প্রায় ৪০ কোটি টাকা, যা গত অর্থবছরের সাময়িক হিসেবে প্রায় ৮২ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সালাহউদ্দিন মাহমুদ বণিক বার্তাকে বলেন, সরকার ব্যবসা করে না, ব্যবসায় সহায়তা করে। সরকারের কিছু প্রতিষ্ঠান আছে যেগুলোয় উৎপাদন হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে লাভ-লোকসান দুই-ই থাকে। কভিড-১৯-এর প্রভাবে আমরা দেখেছি কিছু প্রতিষ্ঠানে নেতিবাচক পরিস্থিতি দেখা গেছে। সামগ্রিকভাবে বলতে গেলে আমরা ইতিবাচক অবস্থায়ই আছি। শিল্প মন্ত্রণালয়ের বিসিক, সার উৎপাদনের ক্ষেত্রে ইতিবাচক অবস্থা আছে। এছাড়া বিটাক, বিএসইসির যে প্রতিষ্ঠানগুলো আছে এগুলো কভিডের সময়ও চালু ছিল। কিছু কিছু দুর্বলতা সত্ত্বেও এসব প্রতিষ্ঠান ভালোই চলছে। তবে চিনিকলের ক্ষেত্রে মেশিনগুলো পুরনো বলে উৎপাদনে কিছু সমস্যা আছে। সরকারের যে পরিকল্পনা ও উদ্যোগগুলো আছে সেগুলোর মাধ্যমে এসব কল ঘুরে দাঁড়াবে। জিডিপিতে শিল্পের অবদান ২৫ শতাংশ, সরকারের পরিকল্পনা অনুসরণ করে এটা ৩২ ভাগে উন্নীত হবে। বিদ্যুৎ, গ্যাস ও পানি খাতের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ অয়েল, গ্যাস অ্যান্ড মিনারেল করপোরেশন (পেট্রোবাংলা), বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি), ঢাকা ওয়াটার সাপ্লাই অ্যান্ড সুয়ারেজ অথরিটি (ওয়াসা), চট্টগ্রাম ওয়াসা, খুলনা ওয়াসা ও রাজশাহী ওয়াসা। পরিবহন ও যোগাযোগ খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি), বাংলাদেশ ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি), বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট করপোরেশন (বিআরটিসি), চট্টগ্রাম পোর্ট অথরিটি (সিপিএ), মোংলা পোর্ট অথরিটি (এমপিএ), বাংলাদেশ ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি (বিএলপিএ) এবং বাংলাদেশ ব্রিজ অথরিটি (বিবিএ)। বাণিজ্য খাতভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি), ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এবং বর্তমানে বিলুপ্ত বাংলাদেশ জুট করপোরেশন (বিজেসি)। কৃষি খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ ফিশারিজ ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন (বিএফডিসি) ও বাংলাদেশ এগ্রিকালচার ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন (বিএডিসি)। নির্মাণ খাতের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), চট্টগ্রাম ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (সিডিএ), রাজশাহী ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (আরডিএ), খুলনা ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (কেডিএ), কক্সবাজার ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (কক্সডিএ) ও ন্যাশনাল হাউজিং অথরিটি (এনএইচএ)। সেবা খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ কল্যাণ ট্রাস্ট (বিএমকেটি), বাংলাদেশ ফিল্ম ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন (বিএফডিসি), বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন (বিপিসি), বাংলাদেশ স্মল অ্যান্ড কটেজ ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিএসসিআইসি), সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ (সিএএবি), বাংলাদেশ ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআইডব্লিউটিএ), রুরাল ইলেকট্রিফিকেশন রোর্ড (আরইবি), বাংলাদেশ এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন অথরিটি (বেপজা), বাংলাদেশ হ্যান্ডলুম বোর্ড (বিএইচবি), বাংলাদেশ সেরিকালচার রোর্ড (বিএসবি), বাংলাদেশ টি বোর্ড (বিটিবি), বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি), এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরো (ইপিবি), বাংলাদেশ সেরিকালচার রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (বিএসআরটিআই), বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি), বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার, বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স সেন্টার (বিটাক) এবং বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন অথরিটি (বেজা)। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে পাট খাতসহ কিছু ক্ষেত্রে লোকসান গুনলেও সামগ্রিকভাবে রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলো মুনাফায় রয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত এ প্রতিষ্ঠানগুলোর গত পাঁচ বছরের আর্থিক ফলাফল পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্মিলিত পরিচালন আয় ছিল ১ লাখ ৪০ হাজার ৬০ কোটি টাকা, যা ২০১৮-১৯ অর্থবছর শেষে ১ লাখ ৭৯ হাজার ৬৩১ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। পাঁচ বছরের ব্যবধানে পরিচালন আয় বেড়েছে ৬ দশমিক ৪২ শতাংশ। অন্যদিকে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর সুদ ব্যয় ছিল ২ হাজার ১৯৬ কোটি টাকা, যা সর্বশেষ ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৩ হাজার ৮৫১ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। পাঁচ বছরের ব্যবধানে সুদ ব্যয় বেড়েছে ১৫ শতাংশ। রাষ্ট্রায়ত্ত এসব প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় সরকার বড় অংকের অর্থ বিনিয়োগ করেছে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানগুলোতে সরকারের বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৮৯ হাজার ২২৩ কোটি টাকা। চার বছরের ব্যবধানে বিনিয়োগের পরিমাণ বেড়ে ৫ লাখ ৯ হাজার ৬৫১ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোতে সরকারের ইকুইটি ছিল ৫১ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা, যা ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ১ লাখ ২২ হাজার ১৯৩ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। পাঁচ বছরের ব্যবধানে ইকুইটি বেড়েছে ২৪ শতাংশ। চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি শেষে ৩০টি রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের ব্যাংকঋণের পরিমাণ ছিল ৩৯ হাজার ৩৪৩ কোটি টাকা। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো থেকে নেয়া এ ঋণের মধ্যে ৮৮ কোটি টাকা খেলাপি। সবচেয়ে বেশি ঋণ নেয়া রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে বিপিডিবি ৭ হাজার ৬৯২ কোটি, বিএসএফআইসি ৬ হাজার ৪৯১ কোটি, বিপিসি ৫ হাজার ৩৪৫ কোটি, বিসিআইসি ৪ হাজার ১০৪ কোটি, বিএডিসি ৩ হাজার ১৩৫ কোটি, পেট্রোবাংলা ২ হাজার ২০৭ কোটি, বিএসইসি ১ হাজার ৪১১ কোটি, বিজেএমসি ৯৩৫ কোটি এবং আরইবির ঋণের পরিমাণ ১ হাজার ১৪৭ কোটি টাকা।