Home বাংলা নিউজ আরো সুবিধা পাচ্ছে পোশাক খাত

আরো সুবিধা পাচ্ছে পোশাক খাত

করোনাকালীন পরিস্থিতিতে একের পর এক প্রণোদনা সুবিধা পেয়েছে তৈরি পোশাক খাত। এবার শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতার জন্য দেওয়া ঋণের গ্রেস পিরিয়ড এবং ঋণ পরিশোধের সময়সীমা ও কিস্তির সুযোগ বাড়ানো হচ্ছে। গত সপ্তাহে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তৈরি পোশাক খাতকে এসব সুবিধা দেওয়ার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। এ ব্যাপারে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ও অর্থনীতিবিদ মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, পোশাক খাতকে অনেক সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এটি আশির দশকের একটি খাত। এখন নতুন খাতকে সুবিধা দেওয়া উচিত। পোশাক খাতের উচিত নিজের পায়ে দাঁড়ানো। তারা শুধু সরকারের কাছে বিভিন্ন দাবি করে। সরকারের উচিত পোশাক খাতকে চূড়ান্তভাবে দিকনির্দেশনা দিয়ে আর প্রণোদনা না দেওয়া। পোশাক খাতসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, পোশাক খাতসহ রপ্তানিমুখী শিল্পের শ্রমিকদের মজুরি দিতে সরকার ২৫ মার্চ পাঁচ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা ঘোষণা করে। এ ছাড়া তিন দফায় শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধে মোট ১০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়। এরপর ৫ এপ্রিল সরকার একই খাতের চলতি মূলধনের জন্য ৩০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করে। ওই সময় ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য দেওয়া হয় ২০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা। এরই মধ্যে পোশাক খাতসংশ্লিষ্ট সব ধরনের ঋণ প্রণোদনা প্রায় বিতরণ করা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের প্রণোদনা আশানুরূপ বিতরণ করা হয়নি। রপ্তানিমুখী শিল্পের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধে পাঁচ হাজার কোটি টাকার যে ঋণ প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে তাতে ঋণ পরিশোধে বেশ কিছু শর্ত দেওয়া ছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী, ঋণের পুরো অর্থ শোধ করতে তারা দুই বছর সময় পাবে। ঋণের গ্রেস পিরিয়ড ছয় মাস। এরপর দুই বছরে ১৮ কিস্তিতে ঋণের টাকা শোধ দিতে হবে। কিন্তু গ্রেস পিরিয়ড শেষ হওয়ার আগেই তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ জানিয়েছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে ক্রেতারা ক্রয়াদেশ বাতিল, স্থগিত, নির্দিষ্ট সময়ে পেমেন্ট না পাওয়া ইত্যাদি কারণে যথাসময়ে ঋণ পরিশোধ করা সম্ভব হবে না। সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছে সংগঠনটি। বিজিএমইএর সার্বিক অবস্থা নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে একটি আন্ত মন্ত্রণালয় সভা করেছে। সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত সপ্তাহে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিজিএমইএর প্রণোদনার গ্রেস পিরিয়ড ও ঋণ পরিশোধের সময় বাড়ানোর জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, করোনা পরিস্থিতির কারণে সচল শিল্পপ্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতার জন্য দেওয়া ঋণের গ্রেস পিরিয়ড ছয় মাসের পরিবর্তে এক বছর করা এবং দুই বছরের ১৮ কিস্তির মাধ্যমে ঋণ পরিশোধের পরিবর্তে পাঁচ বছরে ৬০টি কিস্তির সুযোগ দেওয়ার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানানো হলো। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠি পাওয়ার পর তা নিয়ে কাজ শুরু করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের জন্য তৈরি করা হচ্ছে একটি সার-সংক্ষেপ। তাতে অনুমোদন দিলে তৈরি পোশাক খাতের প্রাপ্তির তালিকায় আরো সংখ্যা যোগ হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here