পশ্চিমা বিশ্বে করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারনে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়া শুরু করেছে। তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকরা জানিয়েছেন অক্টোবর-নভেম্বর মাস থেকে তৈরি পোশাকের রপ্তানি কমতে শুরু করেছে যদিও সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত তা অনেকটাই স্বাভাবিক ছিল। তাঁরা বলেছেন অ্যামেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলোতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব শুরু হওয়ায় সে সকল দেশে রপ্তানি কমে আসছে উল্লেখযোগ্য হারে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এর সূত্রে জানা গেছে এ বছর নভেম্বর মাসে যেখানে ২৩৬ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে যেখানে গত বছরের একই মাসে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ২৫১ কোটি ডলার। এর ফলে এবছরের নভেম্বর মাসে তৈরি পোশাক খাতে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় রপ্তানি আয় কমেছে ৬ শতাংশের বেশি। এ বিষয়ে তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানি কারকদের সংগঠন বিজিএমইএ এর সাবেক সভাপতি আনোয়ারুল আলম চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি ভয়েস অফ অ্যামেরিকাকে বলেন ইতিমধ্যেই করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিনের প্রয়োগ শুরু হওয়ায় আগামী ২০২১ সালের এপ্রিল মাস নাগাদ বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের রপ্তানি স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এদিকে, সরকারে স্বাস্থ্য বিভাগের দেয়া তথ্য মোতাবেক দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৩২ জন করোনা রোগী এবং নতুন ২২০২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর ফলে দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৬৯০৬ জন এবং শনাক্ত হল মোট ৪৮১,৯৪৫ জন করোনা রোগী। স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে এযাবৎ মোট ৪০১,১৯৪ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়েছেন।