Home বাংলা নিউজ তৈরি পোশাক খাতে নতুন কর্মসূচি বিজিএমইএর

তৈরি পোশাক খাতে নতুন কর্মসূচি বিজিএমইএর

পোশাকশিল্প এবং এ শিল্পের শ্রমিকের কল্যাণে নতুন কর্মসূচি নিয়েছে বিজিএমইএ। এর মাধ্যমে শিল্পের দক্ষতা ও উদ্ভাবনী সক্ষমতা বাড়িয়ে টেকসই উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, শ্রমিকদের শারীরিক-মানসিক সুস্থতা, শ্রমিক এবং তাদের সন্তানদের উচ্চতর শিক্ষার মাধ্যমে উন্নত জীবন গড়ে তোলার চেষ্টা করা হবে। বৈশ্বিক উন্নয়ন লক্ষ্য এসডিজি অর্জনকে ত্বরান্বিত করবে এই কর্মসূচি। ‘গো হিউম্যান গো গ্রিন’ নামের কর্মসূচি উদ্বোধন করা হয়েছে গতকাল শনিবার। স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকী এবং জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। লক্ষ্য অর্জনে ৭টি প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করেছে বিজিএমইএ। অনলাইন প্ল্যাটফর্মে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বিশেষ অতিথি ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক এতে সভাপতিত্ব করেন। আরও বক্তব্য রাখেন বিজিএমইএর প্রথম সহসভাপতি মোহাল্ফন্ধদ আব্দুস সালাম, সিনিয়র সহসভাপতি ফয়সল সামাদ, সহসভাপতি এসএ মান্নান কচি, এমএ রহিম ফিরোজ, আরশাদ জামাল দীপু, মশিউল আযম সজল ও চৌধুরী সেলিম। বিজিএমইএর সুনির্দিষ্ট সাত প্রতিশ্রুতি হচ্ছে- শ্রমিকদের জন্য উচ্চতর শিক্ষা, শ্রমিকদের সন্তানদের প্রাক-শৈশব শিক্ষা, শ্রমিকদের মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন, আর্থ-সামাজিক এবং পরিবেশবান্ধব কার্যক্রম, ফ্যাশন বিশ্বে রপ্তানি পণ্যের ঐতিহ্য উপস্থাপন, শ্রমিকদের স্বাস্থ্যগত সুরক্ষা এবং দক্ষতা ও উদ্ভাবনী সক্ষমতার বিকাশ। লক্ষ্য অর্জনে বিদেশি ক্রেতা, উন্নয়ন অংশীদার, বাণিজ্য বিশ্নেষকদের সহায়তা ও পরমর্শ নেওয়া হচ্ছে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক অতিমারি করোনার পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকার পোশাক খাতে প্রণোদনা দিয়েছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে পরিস্থিতি খারাপ হলে নতুন প্রণোদনা সহায়তা দেওয়ার চিন্তা করা হবে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে বিজিএমইএর পক্ষ থেকে নতুন সহযোগিতা চেয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বিজিএমইর আবেদনের ওপর সুপারিশ করে অর্থ মন্ত্রণালয়ে বিবেচনার জন্য পাঠিয়েছেন তারা। মন্ত্রী বলেন, নতুন করে সহযোগিতার পাশাপাশি ঋণ পরিশোধে সময়সীমা বাড়িয়ে দেওয়া হবে বলে আশা করেন তিনি। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কভিডের চেয়েও মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় প্রযুক্তির উন্নয়ন। শুধু চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কারণে দেশে ৫৩ লাখ কর্মসংস্থান কমতে পারে। এর বড় একটা অংশই হবে পোশাক খাতে। প্রচলিত দক্ষতা, শিক্ষা আর প্রযুক্তি দিয়ে এই বিপদ মোকাবিলা করা যাবে না। এসব বিষয় সরকারের বিবেচনায় আছে। সরকার কাজও করছে। নতুন কর্মসূচির উপদেষ্টা পরিষদের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন, আইএলওর কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পুটিয়াইনেন, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সাপ্পো, অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর, খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, নাজনীন আহম্মেদ প্রমুখ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here