২০২১ সালের শুরুতেই অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে দুটি ইতিবাচক খবর পাওয়া যাচ্ছে। এর একটি আবাসন খাতের এবং অন্যটি শেয়ারবাজারের। একটি অর্থনীতিবিষয়ক দৈনিকের খবরে বলা হয়েছে, এক দশক পর আবাসন খাতে আবারও ‘বাবলের’ ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে। এতে বলা হয়েছে, ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় জমির দাম আবার বাড়ছে। আবাসনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন: মানুষ আবাসন শিল্পের দিকে, ফ্ল্যাট ক্রয়ের দিকে আবার নজর দিচ্ছে। বেচাকেনা করোনার মধ্যেও থেমে থাকেনি। বেচাকেনা অব্যাহত আছে এবং দামের কোনো হেরফের ঘটছে না। অথচ স্বাভাবিক নিয়মে এ শিল্পে মন্দা নেমে আসার কথা ছিল। না, তা ঘটেনি। এদিকে শেয়ারবাজার থেকে প্রতিদিন আবার একের পর এক সুখবর পাওয়া যাচ্ছে। গত ৫ জানুয়ারির খবর থেকে জানা যায়, দৈনিক লেনদেন ২ হাজার ১০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ‘ডিএসইএক্স’ ৫ হাজার ৬৫২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিনই আবার অব্যাহতভাবে শেয়ারের দাম বাড়ছে। শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা দেখা যাচ্ছে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন। অনেকেই ছিলেন ক্ষতির সম্মুখীন। এখন আবার তারা আশার আলো দেখছেন।
আবাসন ও শেয়ারবাজারের খবর পাঠে কী মনে হয়? ২০২১ সালের শুরুতে কি হঠাৎ করে এ ঘটনা ঘটছে? আমার তা মনে হয় না। মনে হয়, এসব কয়েকটা সরকারি সিদ্ধান্তের ফল। আমি ‘প্রণোদনা কর্মসূচির’ কথা বলছি না। এর বাইরেও দেখা যাচ্ছে সরকার কয়েকটি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিয়েছে আবাসন ও শেয়ারবাজারের ক্ষেত্রে। ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে অর্থমন্ত্রী দুটি কাজ করেছেন। তিনি ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশনের খরচ কমিয়েছেন, যা ছিল অনেক দিনের দাবি। তা মানা হয়নি এতদিন। বলা হতো, আবাসন হচ্ছে ‘আনপ্রোডাকটিভ’ শিল্প। একে উৎসাহ দিয়ে আখেরে লাভ হবে না। না, এবার অর্থমন্ত্রী ওই দাবিটা মেনে নিলেন। সঙ্গে সঙ্গে আরেকটা কাজ করলেন। তিনি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের অন্যতম চালিকাশক্তি পুঁজিবাজারকে গতিশীল করার লক্ষ্যে তিন বছরের ‘লকইন’সহ কতিপয় শর্তে পুঁজিবাজারে অর্থ বিনিয়োগকে অপ্রদর্শিত টাকার মালিকদের জন্য খুলে দিয়েছেন। তাদেরকে মাত্র ১০ শতাংশ কর দিয়ে অপ্রদর্শিত টাকা বিনিয়োগের সুযোগ করে দিয়েছেন। অধিকন্তু আরেকটা বাড়তি সুবিধা দিয়েছেন। আগে নিয়ম ছিল, টাকা বিনিয়োগ করা যেত; কিন্তু সরকারি বিভিন্ন সংস্থা এর উৎস সম্পর্কে প্রশ্ন করতে পারত। এখন কেউ আর তা পারবে না। তবে ‘অপ্রদর্শিত’ টাকা কর রিটার্নে ১০ শতাংশ কর দিয়ে দেখাতে হবে। একই সুবিধা তিনি জমি, বিল্ডিং ও অ্যাপার্টমেন্ট ক্রয়ের ক্ষেত্রেও দিয়েছেন। এসব নির্দিষ্ট হারে কর দিয়ে অপ্রদর্শিত টাকা দিয়ে কেনা যাবে। কেউ কোনো প্রশ্ন করতে পারবে না। অধিকন্তু ১০ শতাংশ কর দিয়ে অপ্রদর্শিত টাকায় নগদ অর্থ, ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, সঞ্চয়পত্র, শেয়ার, বন্ড বা অন্য যে কোনো সিকিউরিটিজ সাদা করা যাবে। কেউ কোনো প্রশ্ন করতে পারবে না। এসব সিদ্ধান্তের পাশাপাশি ব্যাংকের সুদের হার কমানো হয়েছে। এখন আমানতের ওপর সুদের হার ৬ শতাংশ এবং ঋণের ওপর ৯ শতাংশ। বলা বাহুল্য, ‘প্রণোদনা কর্মসূচির’ টাকা দেওয়া হচ্ছে সাড়ে ৪ শতাংশ সুদে। অর্থাৎ, ভর্তুকিতে, বাকি টাকা ব্যাংকগুলোকে দেবে সরকার।
‘অপ্রদর্শিত’ টাকা আয়কর রিটার্নে দেখানোর এ সুযোগে ১০ শতাংশ কর দিয়ে মানুষ ১০ হাজার কোটি টাকা সাদা করেছেন। সরকার পেয়েছে ১ হাজার কোটি টাকা কর। প্রথমত, ১০ হাজার কোটি টাকা সরকারি হিসাবে এলো, সরকার কর পেল; অধিকন্তু প্রতিবছর এ থেকে সরকার রাজস্ব পাবে। অনৈতিকতার প্রশ্নটিকে কম গুরুত্ব দিয়ে বাস্তবতাকে মেনে নেওয়ার ফল হচ্ছে, আজকের দিনের আবাসন শিল্প ও শেয়ারবাজারের অবস্থার উন্নতির খবর। বলতেই হয় আবাসন শিল্প দৃশ্যত মনে হয় বাড়িঘর বানানোর শিল্প। বাস্তবে এ শিল্পে লাখ লাখ লোক নিয়োজিত। লাখ লাখ শ্রমিক দৈনিক ভিত্তিতে এসবে কাজ করে। ওস্তাগার, হেলপার, কাঠমিস্ত্রি, থাইমিস্ত্রি, তালাওয়ালা, প্লাম্বার, বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি থেকে শুরু করে ডজন ডজন ধরনের শ্রমজীবী ও পেশাজীবী এর সঙ্গে জড়িত। তদের জীবন ধারণ এ শিল্পের কারণেই হয়। আরও কথা আছে। আবাসন শিল্পের সঙ্গে সম্পর্কিত সিমেন্ট শিল্প, লোহা-রড শিল্প ও বালি সরবরাহকারীরা। বস্তুত আবাসন, নির্মাণ শিল্প এবং অবকাঠামো নির্মাণ কাজেই জড়িত লাখ লাখ শ্রমিক-লোক। দেখা যাচ্ছে, সরকারি এসব সিদ্ধান্তের ফল হিসেবে অর্থনীতিতে একটা সাড়া পড়েছে। ২০২১ সাল থেকে আগামী দিনে যদি এটা অব্যাহত থাকে, তাহলে অর্থনীতি পুনরুজ্জীবনে তা সহায়ক হবে।
আমি বলছিলাম স্বাভাবিকতার কথা। ‘কোভিড-১৯’ নামীয় অতিমারি সারা বিশ্বকে প্রায় অচল করে দিয়েছে। অচল করে দিয়েছে আমাদের অর্থনীতিকেও। যেখানে ৮ শতাংশের ওপর ‘জিডিপি’ প্রবৃদ্ধি হচ্ছিল, তা বহুলাংশে হ্রাস পেয়েছে। ২০২০ সালের বেশিরভাগ সময় গেছে ‘লকডাউন’সহ নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যে। এখনো স্বাভাবিক হয়নি জনজীবন। বয়স্করা এখনো গৃহবন্দি-ঘরবন্দি। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এখনো বন্ধ। কেউ কেউ অনলাইনে ক্লাস করাচ্ছে। আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য এখনো স্বাভাবিক হয়নি। আবার চলছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। ইউরোপের দেশগুলো ও আমেরিকা দ্বিতীয় ঢেউয়ে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত। হাজার হাজার মানুষ মারা যচ্ছে। এর মধ্যে আমাদের অর্থনীতির পুনরুজ্জীবন একটি কঠিন কাজ, বিশেষ করে যখন আমরা বিশ্ব অর্থনীতির সঙ্গে ভালো করেই সংযুক্ত। আমদানি করতে হয় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চীন ও ভারত থেকে। রপ্তানি বাজার ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ইত্যাদি দেশ। রেমিটেন্স বাজারের অর্ধেকের বেশি মধ্যপ্রাচ্যে। এ অবস্থায় সারা বিশ্বে গতি ফিরে না এলে আমাদের গতিও থেমে থাকবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে শত বাধা-বিপত্তির পরও আমাদের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে।
দুটি উদাহরণ দিয়ে আজকের আলোচনা শুরু করেছিলাম। এ দুটি হচ্ছে আবাসন শিল্প ও শেয়ারবাজার। এখন দেখা যাচ্ছে, শুধু এ দুটি নয়, আরও কয়েকটি লক্ষণ আছে, যার থেকে মনে হয় অর্থনীতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে চেষ্টা করছে। এ ব্যাপারে যুগান্তর (০৬.০১.২০২১) একটি সুন্দর ‘স্টোরি’ করেছে। স্টোরিটি থেকে বোঝা যায়, গ্যাস ও বিদ্যুতের ব্যবহার ধীরে ধীরে আবার বাড়ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম কিছুটা বেড়েছে। আমাদের চট্টগ্রাম বন্দরে ‘কার্গো হ্যান্ডলিং’ বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব অবশ্যই অর্থনীতিতে গতি ফেরার ইঙ্গিত। যুগান্তরের স্টোরিতে দেখা যাচ্ছে, করোনা মহামারি শুরুর আগে গত জানুয়ারিতে গ্যাসের চাহিদা ছিল আড়াই হাজার মিলি কিউবিক মিটার। এপ্রিল, ২০২০-এ গ্যাসের চাহিদা নেমে আসে ১ হাজার ৭০০ মিলি কিউবিক মিটারে। গত ডিসেম্বরে গ্যাসের চাহিদা বেড়ে হয় ২ হাজার ৭০০ মিলি কিউবিক মিটার। এদিকে বিদ্যুতের চাহিদাও বেড়েছে। ২০২০ সালের মার্চে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ঘণ্টাপ্রতি সাড়ে ৫ হাজার মিলি কিলোওয়াট। এ চাহিদা ডিসেম্বরে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ঘণ্টাপ্রতি সাড়ে ৭ হাজার মিলি কিলোওয়াট।
প্রশ্ন: অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড, মিল-ফ্যাক্টরির কর্মকাণ্ড না বাড়লে কি বিদ্যুৎ ও গ্যাসের চাহিদা বাড়ে? বিদ্যুৎ ও গ্যাসের চহিদা নির্ভর করে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের গতিমাত্রার ওপর। অতএব বলাই যায়, অর্থনীতি নড়েচড়ে বসার চেষ্টা করছে। এর আরেকটি প্রমাণ হচ্ছে ‘কার্গো হ্যান্ডলিং’। আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য যত বেশি গতি পাবে, তত বেশি হবে ‘কার্গো হ্যান্ডলিং’। আমাদের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ আমদানি-রপ্তানি হয় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। দেখা যাচ্ছে, চট্টগ্রাম বন্দরে কার্গো হ্যান্ডলিং বাড়ছে। ২০২০ সালের এপ্রিলে চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্যের ‘কনটেইনার’ ওঠানামা করেছে ১ লাখ ৩৫ হাজার। সে জায়গায় ডিসেম্বরে তা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে প্রায় ৩ লাখ কনটেইনার। এ থেকে অনুমান করা যায়, বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানির কাজ ধীরে ধীরে স্বাভাবিক স্তরে আসছে। শুধু দেশীয়ভাবেই নয়, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে অন্তত একটি লক্ষণ পাওয়া যাচ্ছে স্বাভাবিকতার। আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেল উত্তোলনের পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে। এর দামেও কিছুটা ঊর্ধ্বগতি লক্ষ করা যাচ্ছে।
অবশ্য সমস্যা আছে। এ সমস্যা সৃষ্টি করছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। ব্রিটেনে আবার লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ভারত সফরের কথা ছিল এ মাসে। কিন্তু ব্রিটেনের জরুরি অবস্থার কারণে তিনি এখন আর আসবেন না। এদিকে আমেরিকায়ও সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, বৃদ্ধি পাচ্ছে মৃত্যুও। জাপানে প্রায় জরুরি অবস্থা। একদিন পর পর নতুন নতুন খবর পাওয়া যাচ্ছে। এতে অনিশ্চয়তা আবার দেখা যাচ্ছে। এ বিশ্ব অনিশ্চয়তা থেকে আমরা মুক্ত নই। চীন, আমেরিকা, ইউরোপ, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও ভারত স্বাভাবিক না হলে আমরাও এগোতে পারব না। আমদানি-রপ্তানি সূত্রে আমরা তাদের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ইউরোপের জরুরি অবস্থার কারণে আমাদের তৈরি পোশাকশিল্প ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। গত বছরের ডিসেম্বরে ছিল ‘ক্রিস্টমাস’, এরপর খ্রিষ্টীয় নববর্ষ। এ সময় তাদের তৈরি পোশাকের চাহিদা থাকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে। কিন্তু এবার তাতে বিঘ্ন ঘটেছে। ফলে আমাদের তৈরি পোশাক রপ্তানির কাজ বিঘ্নিত হয়েছে। কারণ, এ শিল্পের প্রধান বাজার ইউরোপ ও আমেরিকা। তথ্যে দেখা যাচ্ছে, ২০২০ সালের জুলাই-ডিসেম্বরে তৈরি পোশাক রপ্তানি হ্রাস পেয়েছে প্রায় তিন শতাংশ। অথচ মোট রপ্তানি এ সময়ে হ্রাস পেয়েছে শূন্য দশমিক ৩৬ শতাংশ। এ তথ্য থেকে বোঝা যাচ্ছে, আমাদের পোশাক রপ্তানি বিঘ্নিত হচ্ছে। এ প্রবণতা বন্ধ না হলে আমাদের পুনর্জাগরণ বিঘ্নিত হবে, বলাই বাহুল্য। কারণ, আমাদের অর্থনীতি তৈরি পোশাক রপ্তানি ও মানবসম্পদ বা জনশক্তি রপ্তানির ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।
ভালো খবর এই যে, আমাদের কৃষিখাত বেশ উপকারে লাগছে। দেশে এখন খাদ্যাভাব নেই। তবু এবারের আমন মৌসুমে চালের দাম বাড়ছে। সরকার বেসরকারি খাতকে ইতোমধ্যে ৩ লাখ ৩০ হাজার টন খাদ্য আমদানির অনুমতি দিয়েছে। বলা হচ্ছে, আমদানি হবে ১০ লাখ টন। এ খবর মোটেই সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। লোকসংখ্যা, জনপ্রতি চালের চাহিদা এবং উৎপাদন হিসাব করলে চাল আমদানি নয়; রপ্তানি করা যায়। এটা আমার কথা নয়, পরিকল্পনা কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাই তা বলেন। এমনকি পরিকল্পনামন্ত্রীও স্বীকার করেছেন, আমাদের পরিসংখ্যানে সমস্যা আছে। সেটা থাকতে পারে। বাস্তবতা হচ্ছে, আমাদের চাল আমদানি করতে হচ্ছে। ভরা আমনের মৌসুমেও চালের দাম বাড়ছে। সেইসঙ্গে আরেক খবর, মূল্যস্ফীতি গত তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ২০২০ সালে মূল্যস্ফীতির গড় ছিল ৫ দশমিক ৬৯ শতাংশ। ২০১৮-১৯-এ তা ছিল ৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ। একটু সাবধানতার দরকার আছে। রেমিটেন্সের পরিমাণ বেশি। সরকার বাজারে প্রচুর লিকুইডিটি সরবরাহ করেছে। অতএব সাবধান।
ড. আর এম দেবনাথ : অর্থনীতি বিশ্লেষক; সাবেক শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়