বিশ্বজুড়ে মহামারি করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে তৈরি পোশাক ও চামড়া খাতে। গত অর্থবছরের প্রথমার্ধের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে তৈরি পোশাক রফতানি কমেছে দুই দশমিক ৯৯ শতাংশ। আর চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রফতানি কমেছে ছয় দশমিক ২৪ শতাংশ। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) মাসিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) ১ হাজার ৫৫৪ কোটি ডলারের পোশাক রফতানি হয়েছে। এই আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় দুই দশমিক ৯৯ শতাংশ কম। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে চার দশমিক ১২ শতাংশ কম। চলতি বছরের প্রথমার্ধে তৈরি পোশাক রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক হাজার ৬২১ কোটি ডলার। অর্থবছরের প্রথমার্ধে ওভেন পোশাকের রফতানি ১০ দশমিক ২২ শতাংশ কমলেও নিট পোশাকের রফতানি তিন দশমিক ৯০ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়া হোম টেক্সটাইল, বেড কিচেন, টয়লেট লাইনসের পোশাকসহ অন্যান্য পেশাকের রফতানি বেড়েছে। গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরে হোম টেক্সটাইলের রফতানি বেড়েছে ৪৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ। বেড কিচেন, টয়লেট লাইনসের পোশাকের ১২ দশমিক ৯৯ শতাংশ ও অন্যান্য পোশাকের রফতানি বেড়েছে ১০৮ দশমিক ০৭ শতাংশ। পোশাকখাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত বছরের মার্চ থেকেই পোশাক রফতানির ক্রয়াদেশ বা অর্ডার বাতিল হতে থাকে। একইসঙ্গে ক্রয়াদেশ স্থগিতও হতে শুরু করে। গত বছরের ৩ এপ্রিল পর্যন্ত করোনার প্রভাবে পোশাকের ক্রয়াদেশ স্থগিত ৩০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যায়। এর ফলে চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) তৈরি পোশাক রফতানি থেকে আয় হয় এক হাজার ২৮৯ কোটি ৪৫ লাখ ডলার। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে এক দশমিক ৪৮ শতাংশ কম। চামড়াখাতের অবস্থাও তৈরি পোশাকের মতোই টালমাটাল। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রফতানি করে বিগত অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে কমেছে ৬ দশমিক ২৪ শতাংশ কম। অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে ৪৪ কোটি ৬১ লাখ ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রফতানি হয়েছে। অর্থবছরের প্রথমার্ধে ৫ কোটি ৪৬ লাখ ডলারের চামড়া, ১১ কোটি ২৭ লাখ ডলারের চামড়াপণ্য ও ২৭ কোটি ডলারের চামড়ার জুতা রফতানি হয়েছে। জুতা রফতানি দুই শতাংশ কমেছে, চামড়া ও চামড়াপণ্য রফতানি কমেছে যথাক্রমে ১৭ ও সাড়ে ১০ শতাংশ।