দেশের তৈরি পোশাক খাতে বাণিজ্য সংক্রান্ত ঝুঁকি চিহ্নিতকরণ ও পর্যবেক্ষণে এই খাতের উৎপাদনকারী, সরবরাহকারী ও ক্রেতাদের সহযোগিতা দিতে বেশ কিছু সল্যুশন নিয়ে এসেছে এইচএসবিসি’র সেরাই লিমিটেড। সেরাই আন্তর্জাতিক ক্রেতা ও ব্র্যান্ডগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশি পোশাক উৎপাদনকারী ও সরবরাহকারীদের সংযোগ তৈরিতে কাজ করে যাওয়া একটি ডিজিটাল বিটুবি প্ল্যাটফর্ম। বাণিজ্য বীমা যোগ্যতা ও তথ্য বিশ্লেষণে নেতৃত্বস্থানীয় প্রতিষ্ঠান ইউলার হারমেস, ডান অ্যান্ড ব্র্যাডস্ট্রিট এবং কোফেইস-এর সঙ্গে হওয়া এই অংশীদারত্বের ফলে সেরাই প্ল্যাটফর্মে যুক্ত প্রতিষ্ঠান তাদের ক্রেতা কিংবা সরবরাহকারীদের আর্থিক অবস্থা ও ঋণ গ্রহণের যোগ্যতা যাচাই করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য পাবে। এসব তথ্য বাজারে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বীদের পর্যবেক্ষণ এবং দ্রুত ঝুঁকি চিহ্নিতকরণের পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদে ব্যবসায়িক কার্যক্রমে সময় ও খরচ দুটোই সাশ্রয় করবে। সেরাই-এর সিইও বিবেক রামাচন্দ্র বলেন, ‘কভিড-১৯ এর পূর্বেও পোশাক শিল্প বিনিয়োগ শুল্কের নীতিমালা পরিবর্তন, সরবরাহকারীদের পাওনা পরিশোধে চাপ বৃদ্ধি এবং টেকসই পণ্যের যোগান অব্যাহত রাখতে প্রতিকূলতার সম্মুখীন হয়েছে। কভিড-১৯ এই সমস্যাগুলোকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। পণ্যের ক্রয়াদেশ বাতিল, ক্রয়াদেশে পরিমাণ হ্রাস, মূল্য পরিশোধের মেয়াদ বৃদ্ধি, পণ্য আনা-নেওয়াতে ধীরতাসহ নানাবিধ কারণে অনেক প্রতিষ্ঠানকে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার সম্মুখীন হতে হয়েছে।’ বেটার বায়িং-এর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, গ্রাহক চুক্তির প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করার পরেও তাদের বীমাগত নিশ্চয়তার ফলে তাদের প্রাপ্য পারিশ্রমিক নিশ্চিত করতে সক্ষম এমন সরবরাহকারী আছে মাত্র ১৭%। তবে অধিকাংশ সরবরাহকারীর (৫৭.৪%) এমন কোনো বীমা নিশ্চয়তা নেই। তৈরি পোশাক শিল্প বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি খাত হওয়ায় ক্রয়াদেশ বাতিলের কারণে সম্ভাব্য ক্ষতি থেকে সরবরাহকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ নীটওয়্যার উৎপাদন ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিকেএমইএ)-এর নিজস্ব প্রতিবেদন অনুযায়ী, ক্রয়াদেশ বাতিল ও বিলম্বিত হওয়ার ফলে জুলাই পর্যন্ত মোট ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অন্যদিকে বাংলাদেশ পোশাক উত্পাদন ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) বলছে, প্রায় এক হাজার ৪৮ সদস্য কারখানা জানিয়েছে ইতিমধ্যে ৯০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি ক্রয়াদেশ বাতিল হয়েছে কিংবা অপেক্ষমান অবস্থায় আছে।