টানা ১৮ মাস ধরে কমছে ওভেন পোশাকের রফতানি আয়। সে তুলনায় কিছুটা ভালো অবস্থানে রয়েছে নিট পোশাক। উদ্যোক্তারা বলছেন, দেশি কাঁচামালের জোগানের কারণে রফতানি বাজারে সুবিধা পাচ্ছে নিট পোশাক; এখানেই বেশ পিছিয়ে ওভেন খাত। তৈরি পোশাক খাতকে এগিয়ে নিতে তাই দেশীয় বস্ত্র খাতকে এগিয়ে নেওয়ার পরামর্শ অর্থনীতি বিশ্লেষকদের। করোনার কারণে ভালো যায়নি গত বছরের পোশাক খাতের রফতানি। তবে ২০১৯ সালের আগস্ট অর্থাৎ করোনার আগে থেকেই নেতিবাচক প্রবৃদ্ধির খপ্পরে আটকে আছে দেশের ওভেন পোশাকের রফতানি আয়। ১৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধিতে ২০১৯-২০ অর্থবছর শেষ করার পর চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে ওভেন পোশাকের রফতানি কমেছে ১০ দশমিক ৮৫ শতাংশ। তবে, ১৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি নিয়ে গত অর্থবছর শেষ করলেও চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে ৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ বেড়েছে নিট পোশাকের রফতানি আয়। উদ্যোক্তারা বলছেন, করোনায় একদিকে ওভেন পোশাকের চাহিদা কমেছে অন্যদিকে এ খাত এখনও পিছিয়ে দেশীয় কাঁচামাল প্রাপ্তিতে। বিকেএমইএয়ের সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, করোনাকালীনে ইউরোপ বা আমেরিকা যেটাই ধরা যাক না কেন প্রত্যেকটা দেশের মানুষ তারা ঘরে বসে অফিস করছেন। ক্যাজুয়েল পোশাকের চাহিদা একটু বেড়েছে। কোভিড রিলেটেড পোশাক নিট ওয়ারে রফতানি হচ্ছে। জায়ান্ট গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক হাসান বলেন, এখানে প্রায় ৮৫ শতাংশ ৯০ শতাংশ পর্যন্ত নিট ফ্রেবরিক লোকালি করা হচ্ছে, সেখানে ওভেনে আমরা কিন্তু ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ ফ্রেবরিক লোকালি করছি। সুতরাং সাপ্লাইতে ওভেনে এখনো সমস্যা আছে। তৈরি পোশাক ব্যবসায়ীরা বলছেন, ওভেন পোশাকের বাজারে সুবিধা পেতে কাজ করতে হবে ম্যান মেইড ফাইবার নিয়ে; এ জন্য সরকারকে নীতি সহায়তা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে হবে বিনিয়োগ নিয়ে। ফারুক হাসান বলেন, পলিসি সাপোর্ট, সরকারি সহায়তা এখানে যদি আমরা ইনসেনটিভ আকারে পাই সেখানে ম্যান মেইড ফাইবারে রফতানি বাড়াতে পারব। দীর্ঘদিন ধরে পোশাক খাত নিয়ে কাজ করা অর্থনীতি বিশ্লেষক ড. নাজনীন আহমেদের পরামর্শ, এগিয়ে নিতে হবে দেশীয় বস্ত্র খাতকে। রফতানি বাণিজ্য বাড়াতে বাজারের শুল্ক সুবিধা আদায়ে কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানোরও দাবি খাতসংশ্লিষ্টদের।