বৈশ্বিক মহামারিতে পোশাক শিল্পে চলমান মন্দাবস্থা উত্তরণে বন্দর থেকে পণ্যের চালান দ্রুত খালাস ও ক্রেতার নির্ধারিত সময়ে রফতানি নিশ্চিত করতে বন্দর ও কাস্টমসের সহযোগিতা চেয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান রিয়াল অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান ও কাস্টম হাউসের কমিশনার এম ফখরুল আলমের সঙ্গে পৃথক সৌজন্য সাক্ষাৎ করে তিনি এ সহযোগিতার অনুরোধ জানান। ড. রুবানা হক বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনায় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পে চরম বিপর্যয় নেমে এসেছে। জাতীয় অর্থনীতিতে এর ব্যাপক নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া ইতিমধ্যে দৃশ্যমান। পরিস্থিতি উত্তরণে সরকারসহ সবার সহযোগিতায় পোশাক শিল্পখাত ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এ লক্ষ্যে তিনি করোনাকালীন দুঃসময়ের মধ্যেও সার্বক্ষণিকভাবে কাস্টমস ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। রিয়াল অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে পোশাক শিল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। রফতানি প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে বন্দর কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার মধ্যেও আমদানি-রফতানি সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম সূচারুভাবে সম্পাদন করছে। তিনি আমদানি খরচ কমানো ও ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়ে থেকে যানজট কমনোর লক্ষ্যে পানগাঁও বন্দর ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং বন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন পরিকল্পনা তুলে ধরেন। এ লক্ষ্যে বিজিএমইএসহ সব স্টেক হোল্ডারদের সহযোগিতা কামনা করেন। এম ফখরুল আলম বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী সমাজকে সহযোগিতা তথা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার লক্ষ্যে কাস্টম হাউস, চট্টগ্রাম সার্বক্ষণিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সৌজন্য সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর প্রথম সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আবদুস সালাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি ফয়সাল সামাদ, সহ-সভাপতি (অর্থ) আবদুর রহিম ফিরোজ, পরিচালক খন্দকার বেলায়েত হোসেন ও সাবেক সহ-সভাপতি এবিএম সামশুদ্দিন।