ভারতের মিজোরাম সরকার বাংলাদেশের চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর ব্যবহার করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ঢাকায় সফররত ভারতের মিজোরাম রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, উচ্চ এবং কারিগরি শিক্ষা, বাণিজ্য এবং শিল্পমন্ত্রী ড. আর লালথাংলিয়ানা বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে রবিবার (২১ মার্চ) সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। পরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত যৌথ প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। সোমবার (২২ মার্চ) মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। যৌথ প্রেস ব্রিফিংয়ে টিপু মুনশি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও মিজোরামের সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ভারতের সেভেন সিস্টারে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। মিজোরামের সঙ্গে সরাসরি ব্যবসা-বাণিজ্যের অনেক সুযোগ রয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকার কারণে ব্যবসা-বাণিজ্য প্রত্যাশা মোতাবেক হচ্ছে না। সড়ক ও নৌ পথে এ ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ সৃষ্টি করা যেতে পারে।’ বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ ও মিজোরাম সীমান্তে বর্ডারহাট স্থাপন এবং স্থলবন্দর চালুর মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে চাচ্ছে মিজোরাম সরকার। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চলমান বর্ডার হাটগুলোতে বড় ধরনের বাণিজ্য না হলেও উভয় দেশের মানুষের মধ্যে বেশ আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। এ বর্ডার হাটের সংখ্যা বৃদ্ধির উদ্যোগে নেওয়া হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে আরও কয়েকটি বর্ডার হাট উদ্বোধন করা হবে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, টয়লেটরিজ সামগ্রী, জুস, মাছ-মাংস এবং ইলেক্ট্রনিক সামগ্রীর প্রচুর চাহিদা রয়েছে মিজোরামে। একইভাবে মিজোরাম থেকে বাঁশ, কাঠ, আদা এবং পাথর আমদানি করা যেতে পারে। উভয় দিক বিবেচনায় প্রস্তাবিত স্থান পরিদর্শনের পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’ এ সময় সফররত ভারতের মিজোরাম রাজ্যের মন্ত্রী বলেন, ‘মিজোরাম বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও যোগাযোগ বাড়াতে আগ্রহী। এজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি। ভারতের মধ্যে মিজোরাম সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ রাজ্য। মিজোরাম বাংলাদেশের খুবই নিকটতম রাজ্য। আমাদের বাণিজ্য বৃদ্ধির প্রচুর সুযোগ রয়েছে। আমরা এ সুযোগ কাজে লাগাতে চাই।’