Home বাংলা নিউজ ‘ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল’ চালু করা হবে: মিলার

‘ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল’ চালু করা হবে: মিলার

বাংলাদেশে মার্কিন বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে শিগগির ‘ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল’ চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার। রোববার (২১ মার্চ) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) সভাপতি রিজওয়ান রাহমান-এর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে তিনি এ কথা জানান। তিনি বলেন, এই কাউন্সিলের মাধ্যমে মার্কিন উদ্যোক্তাদের কাছে এদেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্ভাবনা তুলে ধরা হবে। বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার বলেন, বাংলাদেশের কৃষি, পর্যটন ও ইকো-টুরিজম, সমুদ্র অর্থনীতি, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং এবং অটোমোবাইল প্রভৃতি খাত বিনিয়োগের জন্য অত্যন্ত সম্ভাবনাময়। আশা করছি যুক্তরাষ্ট্রের বাইডেন সরকারের অধীনে দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহ বিশেষ করে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আরও বৃদ্ধি পাবে। তিনি বলেন, ২০১৯ সালে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে এবং আগামীতে তা আরও বাড়বে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশের জনগণকে অভিনন্দন জানান মার্কিন রাষ্ট্রদূত। যুক্তরাষ্ট্রের বাজার বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, গত ১০ বছরে দুদেশের বাণিজ্য ৩৭ দশমিক ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ২০২০ সালে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য প্রায় ৭ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে এসে দাড়িঁয়েছে, যেখানে বাংলাদেশের আমদানি ও রপ্তানির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ২ দশমিক ১৩ বিলিয়ন এবং ৫ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশ প্রধানত তৈরি পোশাক ও টেক্সটাইল খাতের পণ্য সবচেয়ে বেশি রপ্তানি করে থাকে, তবে সাম্প্রাতিক সময়ে পাদুকা, চামড়া, মাছ, ফার্নিচার, ওষুধ, প্লাস্টিক, খেলনা, সিরামিক ও কৃষিজাত পণ্য প্রভৃতি রপ্তানি করছে পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশ সুতা, রড, স্টিল, বয়লার এবং ওয়েল সিড প্রভৃতি পণ্য আমদানি করে থাকে। ডিসিসিআইয়ের সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের রপ্তানিকারকরা পণ্য জাহাজীকরণের ক্ষেত্রে ১৫ দশমিক ৬২ শতাংশ শুল্ক প্রদান করে, যেটি যুক্তরাষ্ট্রে অন্যান্য রপ্তানিকারকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি, আর এ ধরনের উচ্চ শুল্ক হার আমাদের তৈরি পোশাক খাতের টেকসই উন্নয়নকে ব্যাহত করছে এবং আমরা বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ছি। মার্কিন বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের পাশাপাশি পাদুকা ও ডেইরি পণ্যের ক্ষেত্রে যেন শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা দেওয়া হয় সে আহ্বান জানান ডিসিসিআই সভাপতি। রিজওয়ান রাহমান বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক বিনিয়োগের পরিমাণ প্রায় ৩ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং মোট বিনিয়োগের প্রায় ৭৭ দশমিক ২৮ শতাংশ হলো গ্যাস ও পেট্রোলিয়াম খাতে। তৈরি পোশাক, মেডিক্যাল যন্ত্রপাতি, অটোমোবাইল, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং তথ্য-প্রযুক্তি প্রভৃতি খাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে পারেন যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগকারীরা। ঢাকা চেম্বার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে ডিসিসিআইয়ের ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি এন কে এ মবিন, সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন, মার্কিন দূতাবাসের ইকোনোমিক অ্যান্ড ইন্দো-প্যাসিফিক অ্যাফেয়ার্স ইউনিট চিফ জন ডি. ডানহাম এবং ইউএসএআইডি-এর ইকোনোমিক গ্রোথ অফিস-এর পরিচালক জন স্মিথ শ্রীন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here