করোনার কারণে তৈরি পোশাক রফতানি চাপে পড়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ)। আর এ কারণে আগামী পাঁচ বছর তৈরি পোশাক রফতানিতে উৎসে কর শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। বুধবার (১০ মার্চ) বিকেলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে প্রাক-বাজেট আলোচনা সভায় এই দাবি জানায় সংগঠনটি। বিজেএমইএ সভাপতি রুবানা হক বলেন, বিজিএমইএ পোশাক রফতানির সুবিধার জন্য স্থানীয়ভাবে সংগৃহীত রফতানি সংশ্লিষ্ট পণ্য ও সেবার ভ্যাট মওকুফ চেয়ে রিটার্ন দাখিল থেকে অব্যাহতি চায়। সঙ্গে সঙ্গে এনবিআর সদস্য মো. মাসুদ সাদিক বলেন, রিটার্ন দাখিল থেকে অব্যাহতি সম্ভব নয়। রুবানা হক আগামী ৫ বছর পর্যন্ত রফতানি শিল্পের করপোরেট কর ১২ শতাংশ এবং গ্রিন কারখানার কর হার ১০ শতাংশ রাখার সুপারিশ করেন। রফতানি বিপরীতে প্রদত্ত নগদ সহায়তার ওপরে ১০ শতাংশ আয়কর শূন্যে নামিয়ে আনার প্রস্তাব দেন। একই সঙ্গে রফতানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য ইন্ডাস্ট্রিয়াল থার্মোস্ট্যাট ডে হিউমিডিফার যন্ত্রটি শুল্কমুক্ত বা রেয়াতি হারে আমদানির অনুমোদন দেয়ার দাবি জানান। রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই আলোচনায় বিজিএমইএ ছাড়াও পোশাক রফতানিকারকদের আরেক সংগঠন বিকেএমইএ ও বস্ত্র মিল মালিকদের সংগঠন বিটিএমএ অংশ নেন। বিকেএমইএ’র সহ-সভাপতি মো. হাতেম বন্ডের আওতায় আমদানি করা পণ্যের এইএস কোড সংক্রান্ত জটিলতায় ভুল ঘোষণায় পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে জরিমানা থেকে অব্যাহতি, শতভাগ রফতানি খাত হিসেবে পোশাক রফতানির ক্ষেত্রে বায়ারদের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে নন-বন্ডেড কারখানা থেকে পণ্য সংগ্রহের অনুমতি শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়ার প্রস্তাব করেন। বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন শিল্পায়নের স্বার্থে সব ধরনের মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির ক্ষেত্রে একই হারে শুল্কায়নের প্রস্তাব করেন। এছাড়াও দেশি শিল্পের সুরক্ষায় বিদেশি কাপড়ের শুল্কায়ন ওজনের ভিত্তিতে না করে মিটারভিত্তিক পরিমাপের ভিত্তিতে করার সুপারিশ করেন তিনি। পাশাপাশি কাপড় তৈরির কাঁচামাল কৃত্রিম আঁশ আমদানির ক্ষেত্রে প্রতি কেজির শুল্কায়ন ৬ টাকার পরিবর্তে ২ টাকা করার প্রস্তাব দেন। রাজস্ব বোর্ডের পক্ষে কর নীতির সদস্য মো. আলমগীর হোসেন, মূসক নীতির সদস্য মো. মাসুদ সাদিক ও কাস্টমস নীতির সদস্য গোলাম কিবরিয়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন।