জমে উঠেছে তৈরি পোশাক খাতের সংগঠন বিজিএমইএ’র নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা। প্রার্থীরা দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও তৈরি পোশাক শিল্পকে এগিয়ে নিতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টার কথা বলছেন তারা। আর নতুন নতুন কর্মকৌশল নিয়ে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলারও অঙ্গীকার তাদের।
বিজিএমইএ’র পরিচালনা পর্ষদের মেয়াদ দু’বছর। নির্বাচনের মাধ্যমেই পর্ষদ পুনর্গঠনের কথা থাকলেও নিকট অতীতের বেশিরভাগ সময়ই সমঝোতায় গঠিত হয়েছে কমিটি। যদিও বর্তমান পর্ষদ এসেছে নির্বাচনের মাধ্যমেই।
এবারও সমঝোতায় পর্ষদ গঠনের গুঞ্জন ছিল। কিন্তু শুরু থেকেই একাধিক প্রার্থী নির্বাচনে অনড় থাকায় সেটি সম্ভব হয়নি। তবে প্যানেলের সংখ্যা তিন থেকে নেমে এসেছে দুটিতে।
ফোরাম ও সম্মিলিত পরিষদ নামে দুটি প্যানেলভুক্ত হয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন প্রার্থীরা। দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি।
সম্মিলিত পরিষদের প্যানেল লিডার ফারুক হাসান বলেন, সম্মিলিত পরিষদ যখনই ভোটারদের ভোটে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব নিয়েছে তখনই মেম্বারদের, দেশের জন্য, সেক্টরের জন্য অনেকগুলো কাজ করেছে।
ফোরাম প্যানেল লিডার এবিএম সামসুদ্দিন বলেন, ফোরাম কাজে বিশ্বাসী। যার প্রমাণ এই পেনডেমিকের সময় ডক্টর অন হকের মাধ্যমে আপনারা দেখতে পেয়েছেন।
বিজয়ী হলে পোশাক শিল্পের কল্যাণে কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার উভয় প্যানেল নেতার। এছাড়া করোনা পরিস্থিতি ও বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সব ধরনের উদ্যোগ নেয়ার প্রতিশ্রুতিও তাদের।
ফারুক হাসান বলেন, ৮৫ সাল থেকে এই ব্যবসাতে, তখন থেকেই আমি বিজিএমইএ’র সঙ্গে জড়িত। বিজিএমইএ সদস্যরা যদি আমাকে নির্বাচিত করেন তাহলে আমি আগামী দুই বছর সময়টা মেম্বরদের জন্য উৎসর্গ করবো।
এবিএম সামসুদ্দিন বলেন, সামনে লকডাউন শেষে ইউরোপ খোলার পর পরিস্থিতি কি দাঁড়ায়, সেটার উপর ভিত্তি করে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সেজন্য দরকার প্রফেশনাল এবং সত্যিকারের ব্যবসায়ী।
আগামী ৪ এপ্রিল ঢাকায় হোটেল র্যাডিসন ব্লু এবং চট্টগ্রামে বিজিএমইএ’র আঞ্চলিক কার্যালয়ে ভোটগ্রহণের দিন ধার্য রয়েছে। এবারের নির্বাচনে ভোটারের সংখ্যা ২ হাজার ৩১৪ জন।
দেখুন ভিডিও :