Home বাংলা নিউজ বেলারুশে পণ্য রপ্তানিতে কোটামুক্ত সুবিধা চায় বাংলাদেশ

বেলারুশে পণ্য রপ্তানিতে কোটামুক্ত সুবিধা চায় বাংলাদেশ

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, পাট ও পাটজাত পণ্য, চামড়া ও চামড়া জাত পণ্য এবং ওষুধ রপ্তানির ক্ষেত্রে ডিউটি ও কোটা ফ্রি বাণিজ্য সুবিধা দিলে বেলারুশে রপ্তানি অনেক বাড়বে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বৃহস্পতিবার (১৮ সার্চ) ঢাকায় সফররত রেলারুশের শিল্প বিষয়ক উপমন্ত্রী ডিমিট্রি হ্যারিনটনচিক’র নেতৃত্ব আগত প্রতিনিধিদলের সঙ্গে মত বিনিময়ের সময় তিনি এসব কথা বলেন। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বেলারুশের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। উভয় দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ার বিপুল সম্ভাবচনা রয়েছে। এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। উভয় দেশের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল পারস্পরিক দেশ সফর করলে কোন কোন খাতে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানো যায়, তা নির্ধারণ করা সহজ হবে। এজন্য উভয় দেশের প্রতিনিধি নিয়ে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের সহযোগিতা নিয়ে বিনিয়োগে ও বাণিজ্যের খাতগুলো নির্ধারণ করা সম্ভব।   তিনি বলেন, দুই দেশের বাণিজ্য ক্ষেত্রে বড় ব্যবধান রয়েছে। গত ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে বাংলাদেশ বেলারুশে বাংলাদেশ রপ্তানি করেছে ৪ দশমিক ৫৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য, একই সময়ে আমদানি করেছে ১৪৭ দশমিক ৩৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, পাট ও পাটজাত পণ্য, চামড়া ও চামড়া জাত পণ্য এবং ঔষধ রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিপুল সম্ভাবনা আছে, কিন্তু শুল্ক জটিলতার কারনে  প্রত্যাশা মোতাবেক রপ্তানি করা সম্ভব হচ্ছে না। বেলারুশ সরকার এসব পণ্য রপ্তানিতে বাংলাদেশকে ডিউটি ও কোটা ফ্রি বাণিজ্য সুবিধা দিলে বাংলাদেশের রপ্তানি অনেক বাড়বে। টিপু মুনশি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেক হাসিনার নির্দেশনায় বাংলাদেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১শটি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। এসব ইকোনমিক জোনে পাওয়ার, আইসিটি, কৃষিভিত্তিক শিল্পখাতে বেলারুশ বিনিয়োগ করতে পারে। বাংলাদেশ সরকার বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আকর্ষণীয় সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছে। বেলারুশ এসব সুযোগ দিতে পারে। এছাড়া বেলারুশ কৃষি ক্ষেত্রে টেকনিক্যাল সাপোর্ট দিলে বাংলাদেশ উপকৃত হবে। সফররত বেলারুশের শিল্প উপমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার ৫০ বছরপূর্তি অনুষ্ঠারে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি বেলারুশ কৃতজ্ঞ। এজন্য বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বেলারুশ বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগবাড়তে আগ্রহী। বাংলাদেশ বেলারুশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক অংশীদার। তিনি বলেন, শুল্ক জটিলতা সমাধানে বেলারুশ সরকার কাজ করছে। বেলারুশ বাংলাদেশে পরমাণবিক বিদ্যুৎ খাত, গ্রিন ট্রান্সপোর্ট সরবরাহ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা খাতে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। কৃষিভিত্তিক যন্ত্রপাতি উৎপাদন, প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন এবং কৃষি মেকানিকাল খাতে যৌথ উদ্যোগে কাজ করতে চায় বেলারুশ। এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. হাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here