গার্মেন্টস ও টেক্সটাইলে জ্বালানি দক্ষতা ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি সংক্রান্ত সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতার জন্য টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (স্রেডা) এবং বাংলাদেশ গার্মেন্টস উৎপাদনকারী ও রপ্তানিকারক সংস্থা (বিজিএমইএ) এর মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই করা হয়েছে। স্মারকটি জ্বালানি দক্ষতা ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি, সোলার রূপটপ প্রকল্প বাস্তবায়নে সহযোগিতা, সবুজ অর্থায়নে সহযোগিতা, শিল্পগুলোর টেকসই অর্জনে যৌথভাবে সহযোগিতা করে বিজিএমইএ’র সদস্যদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করবে। বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) ভার্চুয়াল এক অনুষ্ঠানে এই সমঝোতা স্মারক সই করা হয়। এতে স্রেডার পক্ষে স্রেডার সচিব নিয়াজ রহমান ও বিজিএমইএ’র পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির সচিব কমোডোর মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক (অব.) স্বাক্ষর করেছেন। সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী বীর বিক্রম বলেছেন, উন্নত দেশের অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তি বিনিময় করতে পারলে আমাদের জ্বালানি খাত আরও সমৃদ্ধ হবে। জ্বালানি সাশ্রয়ের উপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, নেট মিটারিং সিস্টেম ব্যবসায়ীদের বিদ্যুৎ বিলে স্বস্তি দেবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে সরকার উৎসাহ দিচ্ছে। কৌশলগত পরিকল্পনা, আইন ও বিধি নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ জ্বালানি ব্যবস্থা উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। মোট জ্বালানির ৪৮ ভাগ শিল্পখাত ব্যবহার করে। আর এই জ্বালানির ৩০ ভাগ ব্যবহার করে টেক্সটাইল ও তৈরি পোশাক খাত। টেক্সটাইল ও তৈরি পোশাক খাত যদি উন্নত জ্বালানি সাশ্রয়ী প্রযুক্তি ব্যবহার করে তবে ১৭ দশমিক ৬ ভাগ কম জ্বালানি লাগবে। আর এই সাশ্রয়টা বিশাল। স্রেডার চেয়ারম্যান মো. আলাউদ্দিন বলেন, শিল্পখাতে জ্বালানি সাশ্রয়ে আমরা বিজিএমইএ’র সঙ্গে এমওইউ করেছি। এই সমঝোতার মাধ্যমে জ্বালানি সাশ্রয়ের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। ইতোমধ্যে আমাদের বেশ কিছু পদক্ষেপের কারণে জ্বালানি সাশ্রয়ও হচ্ছে। এবার আমরা টেক্সটাইল ও গার্মেন্টসে জ্বালানি সাশ্রয়কে গুরুত্ব দিতে চাই। বিজিএমইএ’র প্রেসিডেন্ট ড. রুবানা হক বলেন, বিশ্বের গ্রিন ফ্যাক্টরিগুলোর মধ্যে সাতটি আমাদের দেশেই আছে। আমরা আরও গ্রিন ফ্যাক্টরি করতে চাই। এজন্য সরকারের সহযোগিতা আমরা সবসময়ই পেয়ে থাকি। এই সহযোগিতা বাড়াতেই এবার স্রেডা’র সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করা হলো। আমরা আশা করছি এর মাধ্যমে আমাদের গার্মেন্টস ও টেক্সটাইল খাত আরও জ্বালানি সাশ্রয় করতে পারবে। একইসঙ্গে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহারে আমরা এগিয়ে যাব। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, জি আই জেড’র কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. অ্যাঞ্জেলিকা ফ্লেডারম্যান বক্তব্য দেন।